সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবে কী? উল্টো ব্যাটিং ব্যর্থতার বাজে নজির স্থাপন করলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ৮৪ রানে গুটিয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহর দল।
আবুধাবিতে টস জিতে বোলিং নেওয়ার যথার্থতা প্রমাণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। তাদের গতিঝড়ে রীতিমতো ধসে পড়ে টপ অর্ডার। রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিও উইকেট শিকারে যোগ দিলে ১৮.২ ওভারে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশি ব্যাটাররা প্রোটিয়া পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। চতুর্থ ওভারে পঞ্চম বলে নাঈমকে হেন্ড্রিকসের ক্যাচ বানান রাবাদা। বামহাতি ওপেনার ফেরেন ৯ রান করে। পরের বলে নতুন নামা সৌম্যকেও সাজঘরে ফেরান প্রায় ইয়র্কার লেন্থের এক বলে। এর ফলে রাবাদার পরের ওভারে হ্যাটট্রিকেরও সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে দুই বল পর ঠিকই মুশফিকের উইকেট তুলে নেন প্রোটিয়া পেসার। বাড়তি বাউন্সের বলে পুরোপুরি পরাস্ত হন মুশফিক। গালিতে তার ব্যাটের কানায় লেগে ওঠা ক্যাচ নেন হ্যান্ড্রিকস। তাতে সৌম্যর পর মুশফিকও ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে।
চাপ বেড়ে যাওয়ায় লিটন দাস একপ্রান্ত আগলে খেললেও বাংলাদেশ স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। কারণ, প্রোটিয়া গতিঝড়ে বাকি ব্যাটাররা যে রীতিমতো খেই হারিয়েছেন! অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। আইনরিখ নর্কিয়ার শর্ট লেন্থের বলে পরাস্ত হয়েছেন। বল গ্লাভসে লেগে জমা পড়ে পয়েন্টে থাকা মার্করামের হাতে! আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও রক্ষা পাননি।
আফিফ তো নেমেই রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে খেলার মাশুল দিয়েছেন। প্রিটোরিয়াসের সুইং করা বলে স্টাম্প উপড়ে যায় তার। আফিফ ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রভাবটা পরেছে স্কোরবোর্ডেও। ১১.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৫ রান।
শুরু থেকে ক্রিজে থাকা লিটনও রানের চাকা সচল করতে পারেননি। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় দেন শামসি। তাতে ৩৬ বলে ২৪ রানেই শেষ হয়েছে লিটনের ইনিংস। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেও সেটি ফলদায়ক হয়নি। তাতে ভেস্তে গেছে দুটি রিভিউ।
সাকিব ছিটকে যাওয়ায় আজ সুযোগ হয় শামীম হোসেনের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে বড়দের মঞ্চে অভিষেক করা এই ব্যাটার প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি মোটেও। ২০ বলে ফিরেছেন ১১ রানে! শামসির বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে মহারাজের ক্যাচে পরিণত হয়েছেন।
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে অফস্পিনার মেহেদী স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটারকে ফিরিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন নর্কিয়া। মেহেদীর ইনিংসে ছিল ২টি চার ও এক ছয়। তার আগে রান আউটে ফেরেন তাসকিন। নাসুম হিট উইকেট হলে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
পেসার কাগিসো রাবাদা ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সবচেয়ে সফল ছিলেন আইনরিখ নর্কিয়া। ৩.২ ওভারে ৮ রানে তিনটি উইকেট নেন তিনি। ২১ রানে দুটি নেন রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসি। ১১ রানে একটি উইকেট ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের।