নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। আদালত থেকে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে তাদের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. নেছার আলম।
তিনি বলেন, ‘আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড রায় দেয়ায় তাদের কনডেম সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এতদিন তারা যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার পরপরই তাদের সমস্ত সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।’
হাইকোর্টে যাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন সিনহা হত্যা মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুণ্ডাদেশ দেওয়া হলে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলার রায় হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি, সাক্ষী-প্রমাণসহ কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। লালসালু কাপড়ে মুড়িয়ে কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের কপিও সেভাবে হাইকোর্টে যাবে।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির আদেশ হাইকোর্টকে অবহিত করতে হয়। হাইকোর্টকে অবহিত না করা পর্যন্ত আদেশ কার্যকর হবে না। এছাড়া আসামিপক্ষ আপিল করতে পারে। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার সবার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে ৬ জনকে। রায়ে ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।