নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
ঢাকা আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে ২৩ লাখেরও অধিক টাকা নিয়ে আটক হওয়া কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এল এ) শাখার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সূত্র জানায়, আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলে সার্ভেয়ার আতিকুরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে রোববার সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজারে দুদকের কার্যক্রম শুরু করার পর এটি প্রথম হওয়া মামলা।
কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেওয়া হবে।’
গত শনিবার আদালতের আদেশে আতিকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার ঢাকায় সাড়ে ২৩ লাখের বেশি টাকা সহ ধরা পড়েন সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান। তাকে কক্সবাজার ফিরিয়ে আনার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ একটি লিখিত অভিযোগ করে থানায় সোপর্দ করেন। ওই অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে লিপিবদ্ধ করে এই সার্ভেয়ারকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে থানায় সোপর্দ করতে যে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়েছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেই সাধারণ ডায়েরির অনুলিপি পাওয়ার পর শনিবারই মামলা অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি মহেশখালীতে সরকারের প্রায় ১৫টি প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে র্যাব কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়া সার্ভেয়ার ফেরদৌসের বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৭ লাখ টাকা জব্দ করে। এছাড়া বাহারছড়া এলাকায় সার্ভেয়ার ফরিদের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এব্যাপারে দায়ের করা মামলার তদন্ত করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিনটি তদন্তে ভূমি অধিগ্রহণে মোট ৭৮ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়।