নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারের সুযোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ অবৈধভাবে মজুদ করে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ৫০ টাকার ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে ৫শ টাকায়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- ৭ অভিযান চালিয়ে ৩ জন ফার্মেসি মালিককে আটক করেছে। শুক্রবার (৫ জুন) দুপুরে নগরীর বন্দর ও ইপিজেড থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, আর সি ড্রাগ হাউজের মালিক মো. শাহজাহান (৬৩), মেসার্স গাউছিয়া ফার্মেসির মালিক মো. আক্তার হোসেন (৪৯) ও মেসার্স মাসুদা মেডিসিন সপের মালিক মো. রবিউল আলম (৩৩)। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে ইপজেড ও বন্দর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন সুপ্রভাতকে বলেন, করোনার সুযোগে বিভিন্ন ওষুধের দাম বেশি রাখায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইপিজেড ও বন্দর থানাধীন এলাকায় অবৈধভাবে মজুদ করে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে তিনজন ফার্মেসি মালিককে আটক করা হয়েছে। আর সি ড্রাগ হাউজে আইভেরা ৬ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধ ৬ প্যাকেট বিক্রি করছিল ২ হাজার ৪০০ টাকা করে, যার বাজার মূল্য ৭৫০ টাকা।
তিনি বলেন, মেসার্স গাউছিয়া ফার্মেসিতে স্ক্যাবো ৬ মিলিগ্রাম একটি ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০০ টাকা, যার বাজার মূল্য ৫০ টাকা, জিঙ্ক ২০০ মিলিগ্রাম ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০ টাকা করে, যার বাজার মূল্য ২৫ টাকা এবং সিভিট ২৫০ মিলিগ্রাম ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০ টাকা, যার বাজার মূল্য ২০ টাকা।
মেসার্স মাসুদা মেডিসিন শপে রিকোনিল ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছিল ৬০০ টাকা, যার বাজার মূল্য ৩৬০ টাকা; মোনাস ১০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধের প্রতি প্যাকেট (২ পাতা) বিক্রি করছিল ১ হাজার ৫০ টাকা, যার বাজার মূল্য ৪৮০ টাকা এবং অ্যাজিথ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ওষুধের প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছিল ৬০০ টাকা, যার বাজার মূল্য ৩১৫ টাকা।
অবৈধভাবে ওষুধ মজুদ ও অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করা ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে র্যাব।