সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ম্যাচটা জিতলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যেত জার্মানির। তবে পুঁচকে উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচটা চোখরাঙানি দিচ্ছিল দলটিকে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আগের দেখায় যে হারের কবলে পড়েছিল জার্মানি। সেই দলটির বিপক্ষে তাদেরই মাঠে চার গোল দিয়ে এবার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ডি মেনশ্যাফটরা।
তবে আগের লেগের সেই ম্যাচের দুঃস্মৃতি আবারও তাড়া করে ফিরছিল জার্মানিকে। প্রথমার্ধে যে একের পর এক আক্রমণ ভেস্তে যাচ্ছিল দলটির। গোলপোস্টও যেন আড়ি দিয়েছিল দলটির সঙ্গে, প্রথমার্ধের শেষ সময়ে পোস্টে লেগে ফিরেছিল দলটির একটি শট। তাই বিরতির আগে গোলের দেখা পায়নি কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
বিরতির আগে গোল না পেলেও মুহুর্মুহু আক্রমণে দলটি ব্যতিব্যস্ত রাখছিল প্রতিপক্ষকে। প্রথমার্ধের দুর্ভাগ্যটা বিরতির পর তাড়া করল না দলটিকে। এরপর তাই যেন গোলের উৎসবই করল কোচ ফ্লিকের দল। ৪৫ মিনিটেই প্রতিপক্ষকে ভাসাল গোল বন্যায়।
অজস্র আক্রমণ শেষে ৫০তম মিনিটে এসে এগিয়ে যায় জার্মানরা। সের্জ গেনাব্রির থ্রু বল প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় পেয়ে যায় মুলারকে। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে তাকে রুখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা হয়নি, মুলার বল বাড়ান কাই হ্যাভার্টজকে। ফাঁকা জালে সহজেই বলটা জড়িয়ে দেন চেলসি মিডফিল্ডার।
জার্মানদের পরের দুটো গোলও এসেছে আরেক চেলসি মিডফিল্ডারের পা থেকে। ৭০ মিনিটে জোরালো এক শটে তার প্রথমটার দেখা পান টিমো ভের্নার। এর তিন মিনিট পর দারুণ এক গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি।
জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ৮৩ মিনিটে জামাল মুসিয়ালা মেসিডোনিয়ানদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোলের দেখা পান।
জার্মানদের জয়ের দিনে রোমানিয়ার মাঠে আর্মেনিয়া হেরেই বসেছে। ফলে কাতারের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যায় জার্মানির। আট ম্যাচ শেষে ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট ইউরোপীয় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে আছে জার্মানরা। আর্মেনিয়াকে হারিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে রোমানিয়া, তাদের অর্জন ১৩ পয়েন্ট। জার্মানির সঙ্গে তাদের পার্থক্য ৮ পয়েন্টের। ফলে জার্মানি শেষ দুই ম্যাচে হেরে বসলেও তাদের ছুঁতে পারবে না রোমানিয়ানরা। যার ফলে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে বিশ্বকাপে চলে গেছে জার্মানরা।