সুপ্রভাত ডেস্ক »
সরকারি কর্মচারীদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পদ বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। এরপর থেকে প্রতি অর্থবছরের সম্পদ বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।
তিনি বলেন, সম্পদ বিবরণী দাখিল করা এখন থেকে বাধ্যতামূলক। যারা সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন না অথবা আংশিক কিংবা মিথ্যা তথ্য দেবেন, তাদের জন্য লঘু ও গুরুদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে বিধিমালায়। সে অনুযায়ী তা করা হবে।
তিনি মনে করেন, এই উদ্যোগের ফলে দুর্নীতি কমবে, দুর্নীতির লাগাম টানা যাবে।
মোখলেস উর রহমান বলেন, সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ (৩০/১২/২০০২ তারিখের সংশোধনীসহ) এর বিধি-১৩ অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর এ লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
যে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে হবে
ক্যাডার/নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন।
গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারীরা (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন।
দাখিলের প্রক্রিয়া
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। সম্পদ-বিবরণি সিলগালা করা খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।