সুপ্রভাত ডেস্ক »
সরকারের বেধে দেয়া ২৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণকে বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। পাশাপাশি এটিকে অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত বলেও আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর মগবাজারে সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২৯টি নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও বাজার পরিস্থিতি শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে অধিদপ্তরকেই নির্ধারণ করা দেওয়া পণ্যগুলো বিক্রি করার দাবি জানিয়েছে তারা।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৭ দফা দাবি জানানো হয়। তবে বেঁধে দেয়া দামের প্রতিটি স্তরে সঠিক তদারকি থাকলে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রিতে আপত্তি নেই বলেও মন্তব্য দোকান মালিক সমিতির।
এসময় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ব্যবসায়ীদের স্বার্থে অবিলম্বে সরকার নির্ধারিত দামের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ অবিবচেনা ও অর্থহীন। তাই এখুনি প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করতে হবে। অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আমাদের আর উপায় থাকবে না।’
শুক্রবার (১৫ মার্চ) খুচরা বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও সবজির মতো ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের সই করা এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও ওইদিন জারি করা হয়।
তবে তিনদিনেও বাজারে কার্যকর হয়নি বেঁধে দেয়া পণ্যগুলোর নতুন দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ নির্ধারণ করে দেয়া দাম কেবল কাগজে কলমেই রয়েছে। বাজারে এর কোন ধরনের কার্যকারিতা নেই। এসব পণ্যের বেশিরভাগই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এ নিয়ে তদারকিও যৎসামান্য বলে অভিযোগে ক্রেতাদের। উল্টো সরবরাহ সংকট আর সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাড়ছে আলু, ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম।
উল্টো এসব পণ্যের দাম নির্ধারণকে বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিযোগ তুললো দোকান মালিক সমিতি।