সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে তারই সৃষ্ট আবাহনী লিমিটেড ভার্চুয়ালি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। ‘স্মৃতিতে শেখ কামাল, দেশীয় ক্রীড়াঙ্গনে আধুনিকতার পথিকৃৎ’- এই ব্যানারে আবাহনী লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। শুরুতে কাজী নাবিল আহমেদ শোকের মাসে স্মরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারসহ অন্যদের, ‘আগস্ট মাস শোকের মাস। এই মাসে হারিয়েছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমরা হারিয়েছি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবকে। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও শেখ আবু নাসেরসহ অনেককেই।’
শহীদ শেখ কামালের নানান দিক তুলে ধরে কাজী নাবিল বলেছেন, ‘এত শোকের মধ্যেও আজ শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন। তিনি বেঁচে ছিলেন মাত্র ২৬ বছর। একাধারে ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক, তিনি ছিলেন সংগীতের সংগঠক। তিনি ছিলেন একজন থিয়েটারের সংগঠক। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী। জেনারেল ওসমানীর এডিসি। একাধারে ছিলেন সমাজকর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র। তিনি প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। এছাড়া অন্য খেলাতেও যুক্ত ছিলেন।’
মাত্র ২৬ বছর বয়সে শেখ কামাল দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোকবর্তিকা হয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি কাজী নাবিলের দৃষ্টিতে, ‘শেখ কামালের জীবন ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত, টগবগে। ২৬ বছরের জীবনে অনেক কিছু প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, যা অনেক মানুষই দীর্ঘ জীবনে করতে পারে না।’
কাজী নাবিল সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আগস্ট মাসে শেখ কামালকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল, ক্রিকেটে, হকি- অন্য সব খেলাতে আরও অনেক আগেই ভালোভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পেতে পারতো।’
আবাহনী ক্রীড়া চক্র, বর্তমানে আবাহনী লিমিটেড শেখ কামাল একঝাঁক তরুণ বন্ধুদের নিয়ে গড়েছিলেন। গত এক বছরে তিন জন পরিচালককে হারিয়েছে ক্লাবটি। আলহাজ মকবুল হোসেন, গোলাম রব্বানী হেলাল ও মুসা মিয়া। এছাড়া করোনাভাইরাসে অনেকেই স্বজন হারিয়েছেন। তাদেরও স্মরণ করেছেন আবাহনী লিমিটেডের এই কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনার সময়েও দেশ সঠিক পথে আছে, এই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন কাজী নাবিল।
আবাহনীর বিভিন্ন খেলায় পারফরম্যান্স তুলে ধরে কাজী নাবিল বলেছেন, ‘ফুটবল লিগ চলছে। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে দল। আমাদের কাজ করতে হবে, আগামীতে আরও ভালো দল করে যেন চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ে থাকতে পারি। ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাদের অভিনন্দন জানাই। হকি লিগ হয়নি দুই বছর। তাই খেলা হয়নি। টেবিল টেনিসে মেয়েদের দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’
এরইমধ্যে আবাহনীর ক্যাম্প পুরনো বিল্ডিং থেকে নতুন বিল্ডিংয়ে গেছে। কমপ্লেক্স তৈরির জন্য। সব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলেছে। আরও এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাজী নাবিল।
আবাহনীকে যারা এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন, তাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেছেন কাজী নাবিল, ‘আবারও স্মরণ করছি শেখ কামালকে। যার হাতে আবাহনী গড়ে উঠেছে। যারা ছেড়ে গেছেন, তাদের স্মরণ করছি। যারা আছেন, তাদের আমাদের চলার পথে পথ দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। পূর্বসূরি যারা কাজ করে গেছেন, চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, হারুনুর রশীদ, আমার বাবা কাজী শাহেদ আহমেদসহ অনেকেই কাজ করে গেছেন। আবাহনী প্রতিষ্ঠা করা জন্য। প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য।’
আবাহনীর বিরুদ্ধে নানান সময়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই কথা তুলে কাজী নাবিলের বক্তব্য, ‘আবাহনীর বিপক্ষে বিভিন্ন সময়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। খেলা ও খেলার বাইরে। আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে তা মোকাবিলা করে আজ এই পর্যন্ত আসা হয়েছে।’