সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
গত কয়েক বছর ধরেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স গ্রাফ উন্নতির দিকে ছিল। তবে ২০২৩ শেষে সেটা নিম্নমুখী। গত বছর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সুবিধা করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। এমনকি বিশ্বকাপে নিজেদের মানের ক্রিকেটও খেলতে পারেনি তারা। তবে বাকি দুই ফরম্যাটে তুলনামূলক ভালো খেলেছে টাইগাররা। ভালো-খারাপ মিলিয়ে ২৩ পার করা বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ থাকছে নতুন বছরে। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসর ছাড়াও আছে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সবমিলিয়ে টানা খেলার মধ্যে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। তাই মানসিক চাপ সামলানোর পাশাপাশি শারীরিকভাবে ফিট থাকাটাও হতে পারে বড় একটা চ্যালেঞ্জ। বছরের শুরুতেই আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর ব্যয়বহুল ঘরোয়া আসর বিপিএল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আসন্ন আসরের সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আসরের পর্দা নামবে পহেলা মার্চ। বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা শ্রীলঙ্কার। ফেব্রুয়ারি-মার্চে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে খেলবে টাইগাররা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে রোডেশিয়ানদের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি আছে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তবে তাদের সাথে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ থাকছে না। জুনে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাওয়া এই আসরে আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। মূলত র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে সরাসরি এই মেগা আসরে অংশ নিচ্ছে টাইগাররা। জুলাই-আগস্টে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। পাশাপাশি আফগানদের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও খেলবে টাইগাররা। এ সিরিজটি হতে পারে আরব আমিরাতে। আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু হিসেবে আপাতত সেখানেই ম্যাচ খেলে তারা। আগস্ট সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে শুধুমাত্র ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে। কোনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নেই। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে টাইগাররা। তবে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সীমিত ওভারের কোনো ম্যাচ নেই।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। তাছাড়া ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও আছে। খবর ঢাকা পোষ্টের