সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী ১২টি শহরে ইউরো ২০২০ আয়োজনের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থান উয়েফা। সম্প্রতি উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন করোনার কারণে পিছিয়ে যাওয়া ইউরো ২০২০’র আয়োজন হয়তো বা ১২ শহর থেকে কমিয়ে আনা হতে পারে। কিন্তু গতকাল আলোচনার পর উয়েফা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে আগামী বছর গ্রীষ্মের এই আসর আগের নির্ধারিত ১২টি শহরেই অনুষ্ঠিত হবে।
২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হলেও এটাকে ইউরো ২০২০ নামেই আয়োজিত হবে। উয়েফার এই ঘোষনার পর পূর্ণ উদ্যোমেই এখন আগামী বছরের এই আসরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে স্বাগতিক শহরগুলো। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে এক বছরের জন্য ইউরোপের সর্বোচ্চ এই আসর স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছির উয়েফা।
উয়েফা জানিয়েছে, ‘ইউরো ২০২০ স্থগিতের ঘোষণা দেয়াটা আমাদের জন্য মোটেই সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এটা করার মাধ্যমে আমরা করোনার কারণে থমকে যাওয়া বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া লিগগুলো শেষ করার সুযোগ করে দিয়েছি। এখন প্রায় সব দেশেই ঘরোয়া আসরগুলো সম্পন্ন হবে’।
প্রথাগত ভাবে একটি বা দুটি দেশে ইউরো আয়োজিত হয়ে আসলেও এবার তার থেকে বেরিয়ে এসে ১২টি ভিন্ন শহরে এর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া উয়েফা। ইউরোপীয়ান ফুটবলের মর্যাদাকর এই আসর আয়োজনের মাধ্যমে শহরগুলো যাতে বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের সামর্থ্য তুলে ধরতে পারে সেই প্রয়াসে উয়েফা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এক সাক্ষাতকারে সেফেরিন সম্প্রতি বলেছেন, ‘নীতিগত ভাবে আমরা ১২টি শহরেই এই আয়োজন সম্পন্ন করবো। তবে শেষ পর্যন্ত তা না হলে ১০, ৯ কিংবা আটটি শহরে তা শেষ করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
গতকাল টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে উয়েফার কার্যনির্বাহী কমিটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার মধ্যে অন্যতম হলো ইউরো ২০২০। বিবৃতিতে স্বাগতিক শহরগুলোর নিয়মিত সহযোগিতা ও প্রতিশ্রুতির জন্য প্রশংসা করা হয়েছে। উয়েফা আরো জানিয়েছে যে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে সেগুলোই আগামী বছর ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া কেউ যদি টিকিট বিক্রি বা পরিবর্তন করতে চায় সেটাও তারা করতে পারবে।
খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা