১০ ডিসেম্বর সুপার ফ্লপ, বিএনপি এখন বেপরোয়া: ওবায়দুল কাদের

সুপ্রভাত ডেস্ক »

১০ ডিসেম্বর ‘ফ্লপ’ হওয়ায় বিএনপি নেতারা এখন ‘বেপরোয়া’ কথাবার্তা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সুপার ফ্লপ, সুপার ফ্লপ। টার্গেট মিস হয়ে গেছে। বিএনপির এখন মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই বেপরোয়া কথাবার্তা বলছে। বেপরোয়া চালকের মতোই বেপরোয়া বিএনপি। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটায় বলা মুশকিল।’ খবর বিডিনিউজের।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহীদ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে গোল দিয়েছি, সেমিফাইনালেও গোল দেব, ইনশাআল্লাহ ফাইনালেও আমরা জিতব। ফাইনাল মানেই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।’

জিয়াউর রহমানকে পঁচাত্তরের ট্রাজেডির ‘মাস্টারমাইন্ড’ উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে না আইন করে তিনি মাস্টারমাইন্ডের পরিচয় দিয়েছেন। সেদিন যদি বঙ্গবন্ধু হত্যা না হত, তাহলে আরেকটি খুনিচক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যার সাহস পেত না।’

‘ভাগ্যক্রমে ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বেঁচে গিয়েছিলেন। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এর মাস্টারমাইন্ডও জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান।’

শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় দলীয় নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলের প্রয়োজন নেই। দলের নামে কেউ অপকর্ম করবেন না। মনে রাখবেন, সাধারণ মানুষ ভয়ে আপনাদের কিছু বলে না। কিন্তু মানুষ সব জানে ও বুঝে।’

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, মাহাফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘অতীতে বিএনপি-জামায়াত কক্সবাজারে যে তা-ব চালিয়ে তা কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়। যারা বিএনপিকে চিনে না, তারা কবরস্থানও চিনেন না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির লক্ষ্য বিদেশি শক্তির কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় যাওয়া। তারা আন্দোলনেও সফল হবে না, ক্ষমতায়ও যেতে পারবে না।’