চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যা , খালাস ৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :
২১ বছর আগে সংঘটিত সাতকানিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতকানিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বশির আহমদ চৌধুরী, ইমতিয়াজ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা মানিক, মো. জাহেদ হাসনাইন, আবু মোহাম্মদ রাশেদ হাসনাইন, মো. তারেক হাসনাইন, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক, ফোরখ আহমদ ও জসিম উদ্দিন। এদের মধ্যে বশির আহমদ চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। তাছাড়া অন্য আট আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. ইদ্রিস, আইয়ুব, হারুনর রশিদ, মোরশেদুল আলম ও ইদ্রিছ (২)।
আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আবু তাহের, আবদুল খালেক, মোস্তাক আহমদ ও আব্দুল মালেক।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ হত্যা মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তথ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আসামিদের মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় তাকে আদালত অব্যাহতি দেয়া হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিচারকার্যে আদালত ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মামলার বাদি আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট এবং এ রায়কে যথাযথ হয়েছে বলে মনে করি।
১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের পর পর দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১ আসামিকে বাদ দিয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
গত ১১ নভেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে ১৩ ডিসেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় ২১ বছরের এ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ মামলার অপর ১০ আসামির মধ্যে লুৎফুর রহমান চৌধুরী ওরফে লুতু মারা গেছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতা বশির আহমদ চৌধুরী, মো. ইদ্রিস, তারেক হাসনাইন, আইয়ুব, মোরশেদুল আলম ও জসিম উদ্দিনসহ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
খালাস ৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া
২১ বছর আগে সংঘটিত সাতকানিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতকানিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বশির আহমদ চৌধুরী, ইমতিয়াজ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা মানিক, মো. জাহেদ হাসনাইন, আবু মোহাম্মদ রাশেদ হাসনাইন, মো. তারেক হাসনাইন, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক, ফোরখ আহমদ ও জসিম উদ্দিন। এদের মধ্যে বশির আহমদ চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। তাছাড়া অন্য আট আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. ইদ্রিস, আইয়ুব, হারুনর রশিদ, মোরশেদুল আলম ও ইদ্রিছ (২)।
আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আবু তাহের, আবদুল খালেক, মোস্তাক আহমদ ও আব্দুল মালেক।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ হত্যা মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তথ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আসামিদের মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় তাকে আদালত অব্যাহতি দেয়া হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিচারকার্যে আদালত ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মামলার বাদি আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট এবং এ রায়কে যথাযথ হয়েছে বলে মনে করি।
১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের পর পর দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১ আসামিকে বাদ দিয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
গত ১১ নভেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে ১৩ ডিসেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
দীর্ঘ প্রায় ২১ বছরের এ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ মামলার অপর ১০ আসামির মধ্যে লুৎফুর রহমান চৌধুরী ওরফে লুতু মারা গেছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতা বশির আহমদ চৌধুরী, মো. ইদ্রিস, তারেক হাসনাইন, আইয়ুব, মোরশেদুল আলম ও জসিম উদ্দিনসহ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।