সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেটে আফগানদের হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ, আজ শেষ ম্যাচে জিতলেই আফগানদের করা যাবে হোয়াইটওয়াশ। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচেও হয়েছে বেশ ভালো লড়াই। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও জাকের আলী অনিক এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ব্যাটে চড়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে আবারও দুজনের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। আরও একবার বাংলাদেশের ত্রাতা হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। শেষ দিকে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন শরিফুল ইসলামও। সোহান-শরিফুলের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে চলে যায় বাংলাদেশ। ২ উইকেটের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে সিরিজ জয়ও। ম্যাচ শেষে সোহানের ২১ বলে ৩১ রানের হার না মানা ইনিংসের প্রশংসায় মেতেছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সোহানের ইনিংস নিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘আজকে সে (সোহান) দারুণ ইনিংস খেলেছে। এমন জায়গায় যখন জাকের-শামীম ফিরে গেল, সে সেখান থেকে আমাদের হয়ে খেলাটা শেষ করে আসলো। ব্যাটারদের থেকে এটাই চাই আমি। যখনই সুযোগ আসবে যেন দায়িত্ব নিয়ে আমাদের ম্যাচ জেতায়।’
ম্যাচ নিয়েও সন্তুষ্টি ঝরেছে প্রধান কোচের কণ্ঠে, ‘প্রথমে বলব, ম্যাচ দুর্দান্ত ছিল। গতকালের ম্যাচ থেকে অনেক ভালো হয়েছে। আজকে উইকেট অনেক সময় ধরে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। ফলে অনেক বেটার ম্যাচ হয়েছে।’
ফিল সিমন্স আরও বলেন, ‘আমাদের বোলিং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে। যে কম্বিনেশনেই যাই না কেন, আমরা আমাদের বোলিংয়ের উপর ভরসা করতে পারি, এটা আমরা জানি। বোলিং গত ৫-৬ সপ্তাহ ধরে অনেক ভালো হচ্ছে। এটা আমাদের গ্রোথের অংশ। বোলিং আমাদের ২ ম্যাচেই ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছে। আজকে তারা ভালো শুরু পেলেও মাঝে এবং বিশেষ করে শেষ দিকে আমরা ভালো বোলিং করেছি। ভালো জায়গায় বল করে যেতে হবে। শারজাহতে উইকেট টু উইকেট বল করে যেতে হবে। আমাদের বোলাররা সেটাই করেছে। স্পিনাররা ভালো করেছে। গতকাল ওপেনাররা দেখিয়েছে তারা কী করতে পারে। আজকে লোয়ার মিডল অর্ডার নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। এক্সাইটিং, অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
সিমন্স আরও বলেছেন, ‘স্পিনারদের (বিরুদ্ধে) ভালোই খেলি আমরা। এটা আমাদের শক্তি। আজকে ভালোই করেছি। গতকাল সেভাবে পারিনি, পারলে ভালো হত। আজ যেভাবে চেয়েছি তা করতে পেয়েছি।’
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সমর্থকদের প্রায় হার্ট অ্যাটাকের দশা করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এবারও একদম শেষ দিকে গিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। ব্যাপারটা হার্টের জন্য ক্ষতিকর মানছেন প্রধান কোচ সিমন্সও। তবে এমন অভ্যাস থাকলে তা সামনে কাজে লাগবে বলেও মনে করেন কোচ। ফিল সিমন্স বলেন, ‘(হাসি) (এভাবে জেতাটা) আমার জন্যও ক্ষতিকর। ক্রিকেট এরকমই আসলে। যদি শুরুতে জেতার পর আরও ক্লোজ ম্যাচ জিততে পারেন পরে আবারও ক্লোজ ম্যাচ আসলে আত্মবিশ্বাস পাবেন। ফলে এই ব্যাপারটা আসলে ভালো। তবে আমাদের কারও (স্বাস্থ্যের) জন্যই জিনিসটা ভালো নয়, আমাদের হার্ট এতকিছু সহ্য করতে পারবে না।’
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আজ ৫ অক্টোবর, জিতলেই আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ।