বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা কার্যকরে চট্টগ্রাম দুদক উদাসীন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি আজ ২০ জুলাই (সোমবার) এ মন্তব্য করেন।
এ সময় সুজন বলেন, গত ৬ জুলাই মহামান্য হাইকোর্ট বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করতে পারবেন এবং সেই অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা রোগীদের অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনাও মানছে না। ইতিপূর্বে ঐসব হাসপাতাল মালিকরা রোগীদের ভর্তি না করে অমানবিকভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অনেক রোগী অকালে মৃত্যুবরণ করেছে।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বিল আদায়ের বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে দুদকে অভিযোগ জানানোর নির্দেশনা প্রদান করলেও চট্টগ্রাম দুদক এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করছে। চট্টগ্রামে কোন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে চট্টগ্রামের কতিপয় বেসরকারি হাসপাতাল মালিক এবং ওষুধ ব্যবসার সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীরা। করোনাকালীন সময়ে সব প্রতিষ্ঠানই কিছু না কিছু দায়িত্ব পালন করলেও চট্টগ্রাম দুদকের রহস্যজনক নীরবতা আমাদের হতাশ করেছে।
হাসপাতাল মালিকদের পুনরায় সতর্ক করে দিয়ে সুজন বলেন, আজ থেকেই যদি এসব বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা তাদের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি পরিহার না করে তাহলে তাদের নাম অতিসত্বর গণমাধ্যমসহ নগরীর উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করা হবে। এর ফলে যদি তারা জনরোষের শিকার হয় সেক্ষেত্রে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব ঐসব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। এছাড়া করোনা চিকিৎসার ওষুধ রেমডেসিভি’র দাম নিয়েও অন্ধকারে আছেন ক্রেতারা। দেখা যাচ্ছে যে করোনা রোগীর কাছ থেকে একেক হাসপাতাল একেক রকম দাম আদায় করছে।
তিনি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে রেমডেসিভি’র প্রকৃত বাজার মূল্য জনগণকে জানানোরও অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি