সুপ্রভাত ডেস্ক »
জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে কলেজছাত্র হৃদয় হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ গুমের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার সাবেক ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন দুপুরে ট্রাইব্যুনালে কেএম আশরাফের হয়ে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ। কোনাবাড়ি থানার সাবেক এই ওসির স্ত্রী অসুস্থ বলে জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশে আইনজীবী সিফাত বলেন, আশরাফের স্ত্রী টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে ক্যানসারে রূপ নেয়। স্ত্রীকে দেখভালের মতো তেমন কেউ নেই। তার দুই মেয়ে রয়েছে। তাই তাকে জামিন দেওয়ার আবেদন করছি।
তার পরিবারে অন্য আর কেউ কি নেই জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তখন আইনজীবী বলেন, আশরাফের পরিবারে আর তেমন কেউ নেই। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আছেন। তবে অর্থের জোগান ও যত্ন নেওয়ার বিষয় রয়েছে। তাই তার জামিন চাইছি। এছাড়া এ মামলা এখনও তদন্তাধীন।
এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, মামলার এই পর্যায়ে কাউকে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া শেখ হাসিনার মামলার বিচারকাজে আমরা হৃদয় হত্যাকাণ্ডের সেই নির্মম দৃশ্য তুলে ধরেছি। তার মরদেহটিও নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যা প্রসিকিউশনের পক্ষে ডুবুরি দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে অংশ নেন হৃদয়। ওই দিনই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পুলিশ। ওই সময় কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে ছিলেন কেএম আশরাফ। তার পরিকল্পনা-দিকনির্দেশনায় এসব হয়েছে। তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন কোনাবাড়ি থানার ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিন। হাজিরের নির্দেশ থাকায় চলতি বছরের ৫ মার্চ তাকে ট্রাইব্যুনালে আনে পুলিশ। কোনাবাড়িতে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শুনানির জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। এর মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।


















































