আবদুল মান্নান »
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর তিনি বাংলাদেশকে খাদের কিনারা হতে তুলে এনেছিলেন এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের সড়কে দেশটা উঠে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে বছর দুই আগে মন্তব্য করেছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে। গত তের বছরে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের ছোঁয়া দেখিয়েছে তা গত ২৮ বছর যারা সরকার চালিয়েছিলেন তারা কেউ দেখাতে পারেন নি । শেখ হাসিনার এই বারের তিন মেয়াদে বাংলাদেশ খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে । দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। পঞ্চাশ বছর আগে যে দেশটির যাত্রা শুরু হয়েছিল অন্যের রিলিফ বা খয়রাতি সাহায্যের উপর নির্ভর করে, পঞ্চাশ বছর পর সেই একই বাংলাদেশ অন্য দেশকে সামান্য হলেও প্রয়োজনে খাদ্য রিলিফ দেয় । যাত্রার সময় যে দেশটিতে এক ডলার পরিমাণেরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল না সেই রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ৪৫ বিলিয়নে ঠেকেছে এবং ইতোমধ্যে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করার জন্য তাদের আড়াই শত মিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে । এরই মধ্যে মালদ্বীপও বাংলাদেশের কাছে ঋণ চেয়েছে । স্বাধীনতা পূর্ববর্তি সময়ে যেই পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাংলাদেশ আর বাঙালিকে চরম অবজ্ঞার চোখে দেখতো সেই পাকিস্তান বর্তমানে অনেকটা দেউলিয়ার পথে । সেই দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দেশটির সরকার দেশের কেন্দ্রিয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক হতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অনুমতি ছাড়া এক টাকাও তুলতে পারে না । এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল । বিশ্বের অনেক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা ভবিষৎবাণী করছেন পরিস্থিতি এমনটা চলতে থাকলে দেশটি অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হতে বেশী সময় লাগবে না ।
২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার আগে জানুয়ারি মাসে আমি একটি জাতীয় দৈনিকে (৮ জানুয়ারি) ‘কয়েকজন চাটুকারই সব বরবাদ করে দিতে পারে’ শিরোনামে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলাম । ২০০৯ সাল হতে ২০২১ সালের শেষ প্রান্তে এসে বলতে হয় এই চাটুকারদের কারণে এখন পরিস্থিতি অনেকটা নাজুক । করোনা মহামারির আগে মুজিব কোট পরিহিত এক নারী সাংবাদিকের শিশু অপহরণ ও তাকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারের প্রেক্ষাপটে লিখেছিলাম ‘মুজিব কোটের ভিতর ওরা কারা’ ? সম্প্রতি দেশের এই বৃহত্তম দলটির সার্বিক অবস্থা দেখে এবং চারপাশের ঘটনা বিশ্লেষণ করে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে আমার ওই দুই লেখা তখন কতটুকু সময়োপযোগী ছিল ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা পর পর তিন মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় । এই তিন মেয়াদে তিনি দেশটার সম্পূর্ণ চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন যা আগে বলেছি । যে দেশটির ভবিষ্যত ও স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকা নিয়ে বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ আর বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন সেই দেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৩তম অর্থনীতির দেশ (সাধারণ বা নমিনেল অর্থে )। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২৪তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ বহুমুখী সেতু বানানোর সাহস দেখিয়েছে । চলছে আরো একাধিক মেগা প্রকল্পের কাজ যার মধ্যে কর্ণফুলি নদীর নীচ দিয়ে টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমূদ্র বন্দর, রামপাল বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ উল্লেখযোগ্য । ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মহাকাণে উপগ্রহ পািেঠয়েছে ।
দেশ যখন উন্নয়নের মহাসোপানে ঠিক তখনই সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক অশুভ চক্রের খপ্পরে পরেছে । বাংলাদেশের মতো একটি বহুদলিয় গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতাসীন দলের বিরোধিতায় নানা মুখি বিরোধী দল ব্যস্ত থাকবে তা স্বাভাবিক । এই দেশে প্রায় সত্তরটার মতো রাজনৈতিক দল থাকলেও এক মাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপিকে বলা যেতে পারে ক্ষমতাসীন দলের প্রকৃত বিরোধী দল যদিও বর্তমানে নানাবিদ কারণে দলটি শুধু বিপর্যস্থই নয় অস্থিত্বের সংকটের মুখোমুখি । দলটির চেয়ারপারসন বেগম জিয়া অর্থ আত্মসাথের মামলায় দ-িত হয়ে কারা ভোগ করছেন যদিও এই করোনা কালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে তিনি এখন শর্তস্বাপেক্ষে মুক্ত এবং নিজ বাড়িতে থেকে নিজের পছন্দসই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন । শুধু হাসপাতাল নয় চিকিৎসকরাও তাঁর বা দলের পছন্দের । প্রথমে তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তারপর একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে । এতেও দলের নেতারা সন্তুষ্ট নন । তাদের দাবি তাঁকে জরুরী ভিত্তিতে বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ না করলে তাঁর জীবনহানির আশঙ্কা আছে । কথাগুলো হাসপাতালের ডাক্তাররা কেউ বলছেন না, বলছেন তাঁর দলীয় ডাক্তারবৃন্দ আর দলের মহাসচিব । সরকার বলছে আইনের দৃষ্টিতে একজন দ-িত আসামীর বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার কোন দৃষ্টান্ত নেই । বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া বা শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রতিদিন দলের নেতা নেত্রীরা রাজপথ গরম করার চেষ্টা করছেন । কেউ একটা তারিখ দিয়ে বলছেন এর মধ্যে যদি তাদের নেত্রীকে বিদেশ যেতে দেয়া না হয় তা হলে বর্তমান সরকারকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা হতে নামানো হবে । দলের একজন বিজ্ঞ আলোচক বলে বসলেন বেগম জিয়া নাকি দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা । আর একজন ঘোষণা করলেন বেগম জিয়ার কিছু হলে দেশের অস্থিত্ব বিপন্ন হবে । আর এক কাটি সরেস আর একজন । তার মতে শুধু দেশের অস্থিত্বই নয় আওয়ামী লীগেরও মৃত্যু হবে । সকলের কথা কেমন জানি লাগামহীন । বেগম জিয়া দ-িত হলে ও অসুস্থ হলেও তাঁর জেষ্ঠ্য পূত্র, যিনি এখন অস্ত্র মামলায় দ-িত হয়ে লন্ডনে পলাতক বিলাসি জীবন যাপন করছেন, তিনিও প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার কথা বলে ২০০৮ সালে লন্ডনে গিয়েছিলেন । তখনো তিনি দ-িত হন নি । তিনি আর বাংলাদেশে ফিরেন নি । বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে তিনি এখন সেই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন ।
বিএনপির এই সব মাঠ গরম করার প্রচেষ্ঠা চলতেই থাকবে তাতে আমি দোষের কিছু দেখিনা কারণ তাদের সামনে এই মুহূর্তে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার অজুহাতে বিদেশে প্রেরণের কথা বলে মাঠ গরম করা ছাড়া আর বিকল্প কিছু নাই । যদি সরকার আইনের কোন ফাঁক ফোকর দিয়ে বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে পারে তাহলে বিএনপি’র রাজনীতির একটি বড় মূলধন হাতছাড়া হয়ে যাবে ।
এই মুহুর্তে সমস্যা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীর লেবাসধারী কতিপয় ব্যক্তির কিছু আত্মঘাতি কর্মকা-ের কারণে দলের ভিতর এক চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি । ধরা যাক চলমান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন । এই নির্বাচনকে ঘিরে যে সহিংসতা ঘটছে বা সামনে ঘটবে তা অতীতে কোন নির্বাচনে দেখা যায় নি । তার অন্যতম কারণ দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন এবং অনেক জায়গায় দলের নিবেদিত কর্মীদের মনোনয়ন না দিয়ে অন্য দল থেকে, হতে পারে তা জামায়াত কর্মী বা কোন এক স্থানীয় বিএনপি নেতা যিনি সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন তাকে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে । অনেক স্থানে এমন প্রার্থীকেও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যিনি স্থানীয় ভাবে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী অথবা সরকারি বা সংখ্যা লঘুদের জমী দখলকারি হিসেবে পরিচিত । একটি নির্বাচনি এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছ হতে খবর পেলাম তাদের এলাকায় যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি সন্ধ্যা হলে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে মদের আসর বসান । এমন বিতর্কিত মানুষগুলো স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা কি ভাবে পেলো? জানা গেছে অনেক প্রার্থী চড়া দামে তাদের মনোনয়ন কিনেছেন । দলের প্রকৃত নেতারা যারা মনোনয়ন হতে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্য হতে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জিতে গেছেন তারপর শুরু হলো হানাহানি । এই হানাহানিতে এই পর্যন্ত একজন বিজিবি সদস্য সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের প্রাণ হরণ করা হয়েছে । নৌকাকে হারিয়ে প্রায় চল্লিশভাগের বেশী বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয় লাভ করেছেন । বিএনপি পূর্বে ঘোষণা করেছে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিবে না । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে অনেক স্থানে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে তার বিজয়ী হয়েছে এবং তাদের সহায়তা করেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা । এদের অনেককে দল হতে বহিষ্কার করা হয়েছে কিন্তু এতে ফল হবে উল্টা কারণ এই বহিষ্কার কর্মসূচী চলতে থাকলে অনেক স্থানে আওয়ামী লীগ প্রকৃত নেতা কর্মী শূন্য হয়ে যাবে ।
একেবারে শেষের ঘটনার নায়ক মন্ত্রী সভা হতে সদ্য অপসারিত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান কা- । তার আগে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার অপরাধে গাজীপুরের মেয়র তার পদ হতে জাহাঙ্গির আলম অপসারিত হয়েছেন। এরপর রাজশাহীর কাটাখালির মেয়র আব্বাস আলীকে তার একটি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে এবং তিনি দেশ হতে পালানোর সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন । যে ডাঃ মুরাদ ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ময়মনসিং মেডিকেল কলেজে ছাত্র দলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন তিনি কি ভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তারপর মন্ত্রীসভায় ঠাঁই ? কোন ব্যাখ্যাই এই অপকর্মের জন্য যথেষ্ট নয় । ডাঃ মুরাদ বর্তমানে দেশ ত্যাগি হয়েছেন । বর্তমানে আওয়ামী লীগে ডা. মুরাদ হোসেনের মতো ব্যক্তিরা কিলবিল করছে এবং উই পোকার মতো আওয়ামী লীগকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তা কি দলের হাই কমান্ড উপলব্ধি করেন ? সার্বিক অবস্থায় তাতো মনে হচ্ছে না । মানলাম ডা. মুরাদের বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তার মানে এই নয় তার ছেলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবেন । এটাতো কোন পীরালি ব্যবস্থা না যে পীরের ছেলে পীর হবে । উত্তরাধিকার সূত্রে আওয়ামী লীগার হওয়া যায় না । দলের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ঠিকই বলেছিলেন ‘আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম’। আর কারা মন্ত্রীসভায় ঠাই পাবেন তার আগেতো তাদের সম্পর্কেতো খোঁজ খবর নেয়া হয় । শেখ হাসিনার এই মেয়াদে পদায়িত কিছু ব্যক্তির পরিচয় জেনে বলা যেতে পারে যাদের দায়িত্বে এই সব খোঁজ খবর নেয়া হয় তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না নতুবা তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিচ্ছেন । এতে প্রধানমন্ত্রী অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না । সব শেষে বলতেই হয় এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকার আর দল। এই সবের মধ্যে যোগ হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সংঘাত আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা । বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাকান্ডের অপরাধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কুড়িজন ছাত্রের মৃত্যুদ- আর পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দ-িত হওয়ার ঘটনা কি কোন সিগনাল দেয়? দ-িতরা সকলে ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বলে পরিচিত । এই সব লক্ষণের কোনটাই আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর নয় এবং হতে পারে এর পিছনে কোন এক বিরাট ষড়যন্ত্র কাজ করছে যা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের অগোচরে থেকে যাচ্ছে । সময় থাকতে সচেতন হওয়া ভালো ।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক