স্মার্ট রাষ্ট্র গঠনে জাতিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন শেখ হাসিনা

আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীর স্মরণসভায় হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে, সেই স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন। তার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য বিরামহীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ডিজিটাল দেশ গড়ে রূপকল্প ২০২১ থেকে উত্তরণ করে ২০৪১ সালে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট রাষ্ট্র গঠনের দূরদর্শী চিন্তার বাস্তবায়নের জন্য জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এতেও তিনি সফল হবেন। কারণ যারা স্বপ্ন দেখেন তারা সফল হন।
গতকাল রোববার বিকালে প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাবেক গণপরিষদ সদস্য, বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রাক্তন নেতা আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্ত্বা আমাদের মনে গেঁথে দিয়েছিলেন। এই বোধ থেকেই স্বাধীনতার চেতনা আমাদের জাগ্রত হয়। বঙ্গবন্ধুকে বলা হয় রাজনীতির কবি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দেশকে একটি সম্মানজনক জায়গায় দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার সুফল বেশি ভোগ করেছে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ের সরকারগুলো।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। জনগণ হাওয়া ভবনের বাংলা, অগ্নি সন্ত্রাসের বাংলা আর চায় না।
তিনি আরো বলেন, আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন দেশ দরদী রাজনীতিবিদ। দেশ ও জাতির জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন। রাজনীতিতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের সাথে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। অনিয়ম, বিভেদ সৃষ্টি করার মতো রাজনীতি তিনি কখনো করেননি। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী একজন অকুতভয় নিবেদিত প্রাণ, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগণের স্বার্থে ৭১ এর নির্বাচনে কিছু বাস্তব ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারা নির্বাচিত হয়ে বিশ্বস্ততার সাথে দলের জন্য অশেষ অবদান রেখেছেন, সফল হয়েছেন, আওয়ামী রাজনীতিকে পরিপূর্ণতা এনেছেন। জনমনে তারা অমর হয়ে রয়েছেন, আবদুল্লাহ আল হারুন তাদেরই একজন। তিনি কর্মের মাঝে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, আওয়ামী লীগে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের ভূমিকা অপরীসীম। তিনি তাঁর মেধা দিয়ে দল ও দেশের জন্য কাজ করে গেছেন আজীবন। রাজনীতিতে এখন যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছে তা থেকে যদি আমরা উত্তরণের পথ খুঁজি তাহলে এই প্রজন্মের কাছে আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরীদের মতো রাজনীতিবিদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের জানাতে হবে, জনগণকে কিছু দেওয়ার জন্য রাজনীতি, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, মানুষের কাছে সাধারণ রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের একটা আদর্শ মূর্তি থাকে। সাধারণত প্রাত্যহিক জীবনে আমরা অধুনা যেসব রাজনীতিবিদদের দেখি, তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই আদর্শ মূর্তির ধারে কাছেও যান না। আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী এই বিরাজমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ছিলেন অতি ব্যতিক্রমী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত শিক্ষিত বিদগ্ধ রাজনীতিবিদ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ ছিল, অত্যন্ত দীন-দরিদ্র এবং অখ্যাতজনকেও মূল্য দিতেন তিনি। তিনি শুধু দীর্ঘ দেহে নয় মনেও অসাধারণ ছিলেন। বিষাক্ত সমাজ জীবনের ছোবল বা লোভের কালিমা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি নঈমুল উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, উত্তর জেলার আবুল কাশেম চিশতী, প্রদীপ কুমার দাশ, অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জামশেদুল আলম, দেবাশীষ পালিত, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মরহুমের কন্যা শামীমা হারুন লুবনা। বিজ্ঞপ্তি