নগরীতে কাজী আবদুল হক নাগরিক স্মরণ সভা কমিটির উদ্যোগে কমিটির চেয়ারম্যান রেহানা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়কারী এম নুরুল হুদা চৌধুরীর সঞ্চালনায় গতকাল নাগরিক স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল ও কোরান খানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। এ সময় তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন কাজী আবদুল হক। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অসংখ্য সম্মুখ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। গ্রুপ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে। ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বাঙালির বিজয় লগ্নে পালিয়ে যাওয়া ফজলুল কাদের চৌধুরীকে তার গ্রুপ এবং কমান্ডার মোহাম্মদ ইদ্রিছ গ্রুপের নেতৃত্বে গ্রেফতার করে যাবতীয় অর্থ সম্পদ বঙ্গবন্ধুর হাতে ন্যস্ত করেন। যুদ্ধ শেষে তিনি সমাজকে আলোকিত করার জন্য গড়ে তোলেন গুয়াপঞ্জক উচ্চ বিদ্যালয়সহ অসংখ্য সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, কাজী আবদুল হক একজন আপাদমস্তক এবং দাম্ভিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার ধ্যান, জ্ঞান ও সাধনায় ছিল দেশের মানুষের কল্যাণ সাধন। তিনি আজীবন শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। আমৃত্যু লালন করেছেন অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চিন্তা চেতনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইদ্রিচ, উত্তর জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী, কাজী আবদুল হকের পুত্র ক্যাপ্টেন কাজী মোহাম্মদ আহসান, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর চৌধুরী, সাবেক প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী, স্মরণ সভা কমিটির মহাসচিব মো. হোসেন বাবু, আনোয়ারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল মান্নান।
আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, নাছির উদ্দিন আহমদ শাহ, বিজয় ধর, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, সালমা বেগম, স ম জিয়াউর রহমান, দিদার আশরাফী, সজল দাশ, মাস্টার আবুল কালাম, সঙ্গীত শিল্পী সমীরন পাল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর