চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনাকালে নগরীতে নির্ধারিত কোরবানির পশুরহাটগুলোতে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পশু বেচাকেনার স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় চসিক সর্বোচ্চ সর্তকতা, পর্যবেড়্গণ, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও বর্জ্য অপসারণের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে পশু বেচাকেনা পর্ব সম্পন্ন করার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নগরীতে চসিকের অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালে উদূ্ভত পরিসি’তি বিবেচনায় পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি পালনের ধরন পাল্টে গেছে। চালচলনে শৃংখলা, সংযম, সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টি উদূ্ভত পরিসি’তি মোকাবেলার পূর্বশর্ত। তাই ধর্মীয় রীতিনীতি ও সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা পালনে যা না করলেই নয়, সেটাই ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিতে যথার্থ ও ফরজ। এজন্য উৎসবের আড়ম্বরতা বাদ দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল আযহার ওয়াজিব নামাজ ও সামর্থ্যবানদের আলস্নাহর উদ্দেশ্য পশু কোরবানি দেয়াটাই যথেষ্ট।
তিনি এ বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদুল আযহার আগেই পশুর হাটগুলো বসানোর ড়্গেত্রে আবশ্যিক ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো ছাড়া অন্য সকল আড়ম্বর ও লোক সমাগম এড়িয়ে চলা ও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইজারাদার, ক্রেতা-বিক্রেতা, প্রশাসন ও চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে চসিক প্যানেল মেয়র ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একানত্ম সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, এস্টেট অফিসার এখলাছুর রহমান, সাগরিকা পশুর বাজারের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীর আলম, জামসেদ খান, বিবির হাট পশু বাজারের ইজারাদার এরশাদ মামুনসহ সুমন দেবনাথ উপসি’ত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি