সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আজীবন নির্বাসন থেকে মুক্তি দিতে পারেন একমাত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আশায় বুক বাধছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি স্পিনার দানিশ কানেরিয়া। তার আশা, সৌরভ আইসিসির চেয়ারম্যান হয়ে গেলেই তার নির্বাসন উঠে যাবে। সেজন্য তিনি চাইছেন, বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্টই আইসিসির কুরসিতে বসুন। আর সেটা হলেই তার উপর যে আজীবন নির্বাসন জারি আছে, তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে আবেদন করবেন প্রাক্তন পাক স্পিনার।
পাক ক্রিকেটের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র দানিশ কানেরিয়া। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। ২০১২ সাল নাগাদ ইংলিশ কাউন্টিতে এসেক্সের হয়ে খেলার সময় ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তারপরই আজীবন নির্বাসিত হন এই পাক ক্রিকেটার। নির্বাসিত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন নিজের অপরাধ অস্বীকার করেছেন কানেরিয়া। শেষমেশ ২০১৮ সালে তিনি গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেন। নির্বাসিত থাকায় ক্রিকেট খেলা তো দূরের কথা ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনও কার্যকলাপেই যুক্ত থাকতে পারেন না তিনি। সে কারণে ইদানিং আর্থিকভাবেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রাক্তন পাক স্পিনারকে। কানেরিয়ার আশা, সৌরভ আইসিসি সভাপতি হয়ে গেলে তার দিকে মানবিক দৃষ্টিতে তাকাবেন। এবং তার নির্বাসন যাতে উঠে যায়, তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করে প্রায় নিয়মিত শিরোনামে থাকছেন প্রাক্তন পাক স্পিনার। তার অভিযোগ হিন্দু হওয়ায় পাক ক্রিকেটে প্রাপ্য সম্মান তিনি পাননি। এমনকী তার উপর জারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টাও করেনি পিসিবি। কিন্তু সৌরভ আইসিসির চেয়ারম্যান হলে তার সমস্যার সমাধান হতে পারে। তিনি বলছেন, ‘সৌরভ সভাপতি হলেই আমি আবার আবেদন করব। আমার বিশ্বাস আইসিসি আমাকে সবরকমভাবে সাহায্য করবে।’ প্রাক্তন পাক স্পিনার মনে করছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার প্রধান হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি সৌরভ। কানেরিয়া বলছেন, ‘সৌরভ ভারতকে খুব ভাল নেতৃত্ব দিয়েছে। ও এখন বিসিসিআই সভাপতি। আমার বিশ্বাস ওই আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি। আর আইসিসির সভাপতি হতে পাকিস্তানের সমর্থন লাগবে না সৌরভের।’ উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ২৬১টি উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার কানেরিয়া। দেশের জার্সিতে ১৯টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন। বহু টেস্ট ম্যাচ হেলায় জিতিয়েছেন কানেরিয়া। কিন্তু গত ৮ বছর নির্বাসনের কারণে খেলার বাইরে তিনি।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা