জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন গতকাল ২৪ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মিলনায়তনে পুষ্টি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন”। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও চমেক হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয়ের যৌথ বাস্তবায়নে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান সেমিনারের আয়োজন করেন। চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মার্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. সুমন বড়–য়া, চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজীব পালিত ও ইউনিসেফ’র নিউট্রিশন অফিসার ডা. উবাসুই। চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারিরা সেমিনারে অংশ নেন।
পুষ্টি বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা বলেন, সুস্থ সবল জাতি গঠনে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। অপুষ্টি একটি জাতীয় সমস্যা। তা সমাধানের পথ খুঁেজ বের করা সকলের দায়িত্ব। সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন, খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে।
কিশোর-কিশোরী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুবা জন্মের পর শিশু অপুষ্টিতে ভুগে বিকলাঙ্গসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের সাথে সাথে শিশুকে প্রথম মায়ের বুকের শাল দুধ দিতে হবে। প্রথম ৬ মাস মায়ের দুধ ছাড়া শিশুর মুখে মধু, মিষ্টি ও চিনিসহ অন্য কোন বিকল্প খাবার দেয়া যাবেনা। এর পর ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি নিরাপদ, সুষম ও ঘরে রান্নাকরা পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। তাহলে শিশু ভবিষ্যতে সুস্থ ও মেধাবী হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদেরকে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গঠন অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞপ্তি