সমাজে একধরনের সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী থাকে যারা যেকোনো সুযোগে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়। কোথাও আগুন লাগলে একদল যায় আগুন নেভাতে, আরেকদল যায় লুটপাট চালাতে। যেমন, কয়েকদিন ধরে পুলিশ বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রাতের বেলা ডাকাতি শুরু হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় রাত জেগে ডাকাত পাহারা দিতে হচ্ছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনী তৎপর হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে জনজীবনে।
অন্যদিকে এই সুযোগে পাহাড়কাটার মচ্ছবে মেতে ওঠেছে একটি দুর্বৃত্তের দল। স্থানীয় একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে দিনে-রাতে পাহাড় কাটা চলছে বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায়। পুলিশের কার্যক্রম না থাকার সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ এবং প্রভাবশালী একটি চক্র স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় সাবাড় করছে। প্রত্যক্ষদর্শী বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বায়েজিদ বোস্তামি থানার চন্দ্রনগর কলাবাগান এলাকায় এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি চক্র গত কয়েকদিন ধরে পাহাড় কাটছে। রাত-দিন পাহাড় কেটে মাটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় তিন একর আয়তনের বড় পাহাড়টির বিশাল একটি অংশ ইতিমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। আবাসিক প্লট তৈরি করে তা বিক্রি করা হবে বলেও প্রচার করেছে তারা।
স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পাহাড়কাটার খবরটি দেওয়ার মতো কাউকে তারা পাননি। পুলিশের মোবাইল বন্ধ। থানার কোনো কার্যক্রমও নেই। তারা অভিযোগ করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকসহ অনেককে ফোন করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। গতরাত পর্যন্ত পাহাড়কাটা চলছিল বলে দাবি করেছে পত্রিকাটি।
গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বর্ষণে নগরসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় দিন কেটেছে। অনেক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েও আশঙ্কা দূর করা যায়নি। প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বলা হলেও পাহাড়কাটা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আসলে ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’ হলে যা হয় আরকি। কিন্তু এভাবে আর কতকাল রেহাই পেয়ে যাবে দুর্বৃত্তরা?