সীতাকুণ্ডে ৮টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন জাপানি ব্যবসায়ী দল

সীতাকুণ্ডে ৮টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিনিধি সীতাকুণ্ড  »

সীতাকুণ্ডে ৮টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছে ৪ সদস্যের জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। গত সোম ও মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন ইয়ার্ড পরিদর্শন করে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কার্যক্রম ও পরিবেশ পর্যবেক্ষন করেন।

সূত্রে  জানা যায়, বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের ৪ সদস্যের একটি দল গত দুই দিনে  দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙা শিল্প সীতাকুণ্ড  এলাকার ৮টি শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করেন।  ইয়ার্ড গুলি হল এস একে ইয়াড, এন.এন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, এসএনটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, মাষ্টার এন্ড ব্রাদার্স শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, মাহিনুর শিপ রিসাইক্লিং লিঃ, পিএইচপি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, কেএসআরএম শিপব্রেকিং ইয়ার্ড এবং ফোর স্টার শিপব্রেকিং ইয়ার্ড। চার সদস্যের এই দলে ছিলেন জাপানি ব্যবসায়ী জিএমএস মি. অমিত মালহোত্রা, জেএফই মি.শিমোদা জুনিয়া, মি. নাকা তাকাহিরো, মি. হিরোয়াসু ইচিকাওয়া।

এসময় তাদের সাথে ছিলেন মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের কর্মকর্তা মোঃ সাব্বির আহমেদ, মোঃ তানভীর প্রমুখ। বারআউলিয়া সাগর উপকূলে অবস্থিত মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শনকালে জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, তারা জাপানে স্ক্র্যাপ জাহাজ বিক্রি এবং শিপব্রেকিং করেন।

বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজ কিনে এনে এখানে কাটিং করেন। কিন্তু এর আগে তারা কখনো এখানে শিপব্রেকিং প্রত্যক্ষ না করায় তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিলো না। এজন্য তারা সরেজমিনে এখানে এসে দুই দিনে অনেকগুলো শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এসব ইয়ার্ডগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যে গ্রিণ ইয়ার্ডে রুপান্তর হয়েছে এবং আরো কয়েকটি গ্রিণ ইয়ার্ডে পরিণত করার কাজ চলছে। তারা এখানকার জাহাজ ভাঙা শিল্প বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করে ভবিষ্যতে আরো বেশি প্রতিনিধিসহ এই শিল্প এলাকায় পুনরায় আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।