নিজস্ব প্রতিবেদক »
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন পরিকল্পনায় নগরকে বাণিজ্যিক এবং পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের কে বি আব্দুস ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মাস্টার প্ল্যান ২০২০-২০৪১ প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ডভিত্তিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য চসিক কাউন্সিলরদের সঙ্গে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু পরিকল্পনা গ্রহণ করলে হবে না, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিক হতে হবে। মাস্টার প্ল্যানে সিএসআরএস জরিপ অনুযায়ী সমস্ত বিলুপ্ত খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সিডিএ’র যে কোনো প্ল্যান অনুমোদনে চসিকের সংশ্লিষ্টতা থাকার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে অপরিকল্পিত নগরায়ন হবে না।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পেশাজীবী প্রতিনিধি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি যারা এলাকার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে খালে রিটের্নিং ওয়াল করতে গিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমেও বাকলিয়া, চান্দগাঁও এলাকা ময়লা পানিতে সয়লাব হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগর প্রকৃতিগতভাবে অনন্য সুন্দর। পাহাড় কেটে বৃক্ষ নিধন করে এ নগরের সৌন্দর্য হানি করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, নগরের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে গেলে চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ অপরিহার্য। প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক অংশীজন সভা করা হবে। ওইসব সভায় প্রত্যেক শ্রেণিপেশার মানুষের মতামত গ্রহণ করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, উন্নত নগর গড়তে হলে পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ অপরিহার্য। সকল সংস্থার সমন্বয় না হলে পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি মাস্টার প্ল্যানে হকার পুনর্বাসন, যানজট নিরসন,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী আশিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর মোবারক আলী, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী ঈসা আনসারী ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের টিম লিডার ড. আহসানুল কবির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সিডিএ চট্টগ্রাম মহানগরীর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে। ২০ বছর মেয়াদী এ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে বিভিন্ন সংস্থার সাথে অংশীজন সভা করছে সিডিএ।