নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন খেলার কথা। আমরা বলি রাজনীতি আর খেলা এক নয়। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। খেলা করি না। বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আমরা সেই গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছি। সরকারের শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ সফল করে সাধারণ মানুষ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। ভোট হতে হবে ব্যালটের মাধ্যমে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যদি এই সরকার নিজ থেকে ক্ষমতা না ছাড়ে তাহলে জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও হামলা মামলা, গ্রেফতার ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহানগর বিএনপি কেন্দ্রঘোষিত এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি’র ১০ ডিসেম্বরের গণ সমাবেশকে বানচাল করার জন্য পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারকীয় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো কার্যালয় তছনছ করে গেছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে পুলিশি তা-ব, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।’
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘সরকার জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা বিগত ১৪ বছরে দেশের রাজনীতিকে নষ্ট করেছে। তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে।’
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজসহ প্রমুখ।