![Festival_Eidul Azha_Shagorika Gorur Bazar (1)](https://suprobhat.com/wp-content/uploads/2020/07/Festival_Eidul-Azha_Shagorika-Gorur-Bazar-1-696x392.jpg)
![Festival_Eidul Azha_Shagorika Gorur Bazar (1)](https://suprobhat.com/wp-content/uploads/2020/07/Festival_Eidul-Azha_Shagorika-Gorur-Bazar-1-696x392.jpg)
দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা #
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র চার দিন বাকি। কিন্তু নগরীতে এখনো জমে উঠেনি কোরবানির পশুর হাট। হাটগুলো পশুতে ভরপুর থাকলেও বেচাকেনা কম। বিক্রেতারা আশা করছেন ঈদের তিন দিন আগ থেকে বেচাকেনা জমবে।
নগরীর ৭টি হাটে বৃহস্পতিবার থেকে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। কিন্তু গত চার দিনে হাটে বিক্রেতাদের আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি। এবার ক্রেতা তেমন না থাকায় এবং পশুর চাহিদামাফিক দাম না ওঠায় হতাশ বিক্রেতারা।
নগরীর বৃহত্তম পশুর হাট সাগরিকায় দিনে ১৫-২০টি পশুর ট্রাক প্রবেশ করছে। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার গরু রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর। কিন্তু গত চার দিনে মাত্র ২৫০টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর বলেন, হাটে পশুতে ভরপুর। কিন্তু ক্রেতা তেমন নেই। এতে বিক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
কুষ্টিয়া থেকে ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতা রহমত উল্লাহ। গত চার দিনে মাত্র একটি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন তিনি। হতাশার সুরে তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, গত বছর যে গরুর দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা, এবার ক্রেতারা ওইটার দাম বলছে ৩৫-৪০ হাজার। প্রতিটি গরুতেই ১০-১৫ হাজার টাকা দাম কম বলছেন ক্রেতারা। গরু বড় করতে যে পরিমাণ শ্রম ও খরচ হয়েছে সেই অনুযায়ী বিক্রি করতে না পারলে অনেক লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
নগরীর ষোলশহর বিবিরহাটে ১ হাজারের মতো পশু এসেছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত চার দিনে মাত্র ৭০টি পশু বিক্রি হয়েছে। হাটে ক্রেতার সংখ্যা হাতেগুনা।
আরিফুল ইসলাম বলেন, নগরীতে সাধারণত ঈদের তিন দিন আগে পশু ক্রয় করেন কোরবানিদাতারা। আশা করছি, বুধবার হাটের বেচাকেনার পরিস্থিতি বুঝা যাবে।
নগরীর কর্ণফুলী নূর নগর হাউজিং এস্টেট বাজারে ৬ হাজার গবাদিপশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার আবদুর রহিম সওদাগর। কিন্তু গত চার দিনে ৫০টি পশুও বিক্রি হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
নগরীর পতেঙ্গা কমল মহাজন হাটে ৩ হাজারের মতো পশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার মমতাজ উদ্দিন। কিন্তু গত চার দিনে ১২০টি পশু বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।
দেওয়ানহাট পোস্তারপাড় ছাগলের বাজারে ১ হাজারের মতো ছাগল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজারাদার খোরশিদ আলম। কিন্তু ক্রেতার আনাগোনা কম বিধায় বেচাকেনা জমে উঠেনি বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, নগরীর পশুর হাটগুলো ঈদের দিন পর্যন্ত চালু থাকবে।
এবার কোরবানির পশুর হাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইজারাদারদের ১৮টি শর্ত দিয়েছে সিটি করপোরেশন। শর্ত অনুযায়ী হাটগুলোতে ক্রেতাদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এছাড়া হাটের প্রবেশদ্বারে ক্রেতাদের জ্বরও মাপা হচ্ছে। আর হাটজুড়ে প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে।