সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই হারে সুপার-১২ এ যাওয়ার পথটাই কঠিন হয়ে গেছে! দলের এমন ব্যর্থতার পর সোমবার ওমানে জরুরি সভায় বসেন নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪১ রান তাড়া করে ৬ রানে হারের কারণ জানাতে গিয়ে তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচকেই দুষেছেন বিসিবি সভাপতি।
দলের সিনিয়র তিন ক্রিকেটার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু কারো ব্যাটিংই টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। অথচ নয় নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিং লাইনআপ বাংলাদেশের। এত লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের ব্যাটিং নিয়ে ক্ষুব্ধ নাজমুল হাসান, ‘বাটিং অ্যাপ্রোচ পরিবর্তন করতে হবে। সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ- আমাদের সেরা ব্যাটার। ওরা ম্যাচ শেষ করে আসবে, এটাইতো হওয়া উচিত। আর যদি নিচের থেকে কাউকে উঠাতে হয় তাহলে নিয়ে আসবে। আর ওরা যদি ওপরে খেলতে চায়, তাহলে তাদের ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হবে। কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে বল নষ্ট করা এবং এমন একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া, যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না, সেটা করলে ঠিক হবে না।’
১৮ রানে দুই ওপেনার সৌম্য ও লিটন ফিরে যাওয়ার পর মুশফিক ও সাকিব জুটি বাঁধেন। কিন্তু তাদের ব্যাট থেকে রান এলেও সেটি দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেনি। ১২০ বলের ৪২টিই ছিল ডট! ব্যাটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি পরিকল্পনায় ঘাটতি দেখছেন বোর্ড প্রধান, ‘দল হারতেই পারে। কিন্তু অ্যাপ্রোচ তো ঠিক থাকবে। ম্যাচে খেলার অ্যাপ্রোচ, অ্যাটিচুড কিছুই ঠিক ছিল না। প্রথম ৬ ওভারে সুবিধা থাকে। তখন মারতে গেলে উইকেট যাবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু দুটি উইকেট পরে যাওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাট করেছে, ইনক্লুডিং সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুজন বাদই দিলাম। ৩,৪,৫ নম্বরে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সেখানেই তো আমরা ম্যাচ হেরে গেছি।’
বোর্ড সভাপতি মনে করেন এভাবে খেলতে থাকলে বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়, ‘এভাবে খেললে তো ওয়ার্ল্ড কাপ চেজ করতে পারবো না। এটা তো প্রত্যেকটা খেলোয়াড় জানে। আমাদের পরিকল্পনাও ভালো ছিল না। আমার মতে ওখানে যেহেতু ৩ ওভারে উইকেট পরে গেছে, আরও ২ ওভার বাকি ছিল। অবশ্যই সেখানে ব্যাটিং পরিবর্তন করার দরকার ছিল।’
কারো ব্যাটিং পজিশন নির্দিষ্ট থাকবে না। বোর্ড সভাপতি মনে করেন, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটারদের পজিশন পরিবর্তন করতে হবে, ‘কাউকে তিনে খেলাতে হবে, কাউকে চারে খেলাতে হবে- সেটা তো পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
বোর্ড প্রধান আরও বলেছেন, ‘প্রথমে যারা নামবে তাদেরকে ৬ ওভারের সুবিধা নিতেই হবে। পরের দিকে যতগুলো শট তারা খেলেছে, যতগুলো ক্যাচ তারা বাউন্ডারি লাইনে দিয়েছে, সেগুলো সব মারতে হবে প্রথম ৬ ওভারেই। তখন তো কেউ থাকছে না। যখন বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার থাকে, তখন তো এসব সুযোগ নেওয়ার মানে থাকে না। আমি ওদের পরিকল্পনাটাই বুঝতে পারিনি।’