নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আবারও পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) তিনটায় নগরের জামালখানে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কথা বলেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে এর আগেই ওই এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।
পুলিশি তৎপরতায় সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তারা। কয়েকজন শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেখানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা জামালখান প্রেস ক্লাব থেকে কয়েকশ গজ দূরে গিয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায়।
চেরাগী পাহাড় মোড়ে অবস্থান নেন জনা ৫০-৬০জন বিক্ষোভকারী। সেখানে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা বাধা দেন। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে সড়কের ওপর বসে পড়েন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। আওয়ামী লীগের এক সমর্থকও বিক্ষোভকারীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর বিক্ষোভকারীরা মোড়ের এক পাশে সড়কে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। এভাবে ১৫ মিনিট বসে থাকার পর পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এরপর পুলিশ লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেয়।
সংঘর্ষে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে নগরের কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড় ও আশেপাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটকদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপর তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।