সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মাঠে গড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। দ্বিতীয় দিনের ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট সানরাইজার্স। এ ম্যাচে কিছুটা কষ্টে জয় পেয়েছে কুমিল্লা। আগে ব্যাট করে ১৯.১ ওভারে অল আউট হওয়ার মাত্র ৯৬ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য স্পর্শ করে ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও ফাফ ডু প্লেসি। দলীয় ১৩ রানেই বিদায় নেন ডু প্লেসি। নিজের প্রথম ম্যাচে তিনি করেন ২ রান। এরপর মুমিনুল হক ও ডেলপোর্ট ২১ রানের জুটি গড়েন।
দুজনে সাজঘরে ফেরার আগে করেন যথাক্রমে ১৬ ও ১৫ রান। মুমিনুলের বিদায়ের পর ছোটখাটো ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে কুমিল্লা। ১১ রানের মাঝে দলটি হারায় ৩ উইকেট। এরপর ২৭ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন নাহিদুল ইসলাম ও করিম জানাত। কিন্তু ২ রানের ব্যবধানে দুজনই আউট হলে ম্যাচে নাটকীয়তা দেখা দেয়। নাহিদুল ১৬ ও করিম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন। এরপর শহিদুল ইসলামও ফিরলে ম্যাচের উত্তেজনা পৌঁছায় চরমে। শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ফলে ৮ বল থাকতে জয় পায় কুমিল্লা। সিলেটের হয়ে নাজমুল ইসলাম ৩টি এবং সোহাগ গাজী ও মোসাদ্দেক হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
ব্যাট করতে নেমে ৯ বলে ৩ রান করে শুরুতেই ফেরেন আনামুল হক বিজয়। এরপর কলিন ইনগ্রাম ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে দলকে এগিয়ে নেন। দলীয় ৩৩ ও ব্যক্তিগত ২০ রানে ইনগ্রাম আউট হওয়ার পর রবি বোপারা ছাড়া আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন বোপারা। শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ১২ রানের ইনিংস দলীয় সংগ্রহকে ১০০-এর কাছে নিয়ে যায়। এছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি।
কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। এছাড়া তানভীর ইসলাম, করিম জানাত ও মুমিনুল ইসলাম একটি করে উইকেট শিকার করেন। খবর ডেইলি-বাংলাদেশ’র