সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »রোনালদো
ফর্মে ফেরার দিনে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে গত শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ৩-২ গোলে পরাজিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফর্মে ফেরার জন্য একজন খেলোয়াড়ের এর থেকে ভাল দিন আর হতে পারে না। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
এই জয়ের মাধ্যমে ২৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসা ইউনাইটেড আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো। পঞ্চম স্থানে থাকা আর্সেনালের থেকে ইউনাইটেড এখন মাত্র দুই পয়েন্ট এগিয়ে আছে। যদিও গানার্সদের হাতে বাড়তি চারটি ম্যাচ আছে।
এর আগে ১০ ম্যাচে রোনালদো মাত্র একটি গোল করেছিলেন। কিন্তু পরপর তিনটি অসাধারণ গোল করে ফিফা রেকর্ড অনুযায়ী ক্লাব ও দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০৭ গোলের গর্বিত মালিক এখন রোনালদো। এদিকে গত আট লিগ ম্যাচে পঞ্চম পরাজয়ে টটেনহ্যাম ইউনাইটেডের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে এখনো টেবিলের সপ্তম স্থানেই আছে।
বাজে ফর্মের কারণে ইউনাইটেডে দ্বিতীয় মেয়াদে রোনালদোর ফেরাটা মোটেই সুখকর হয়নি। ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো শেষ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেললো কিনা এমন সমালোচনাও উঠেছে। পাঁচ বারের ব্যালন ডি‘অর বিজয়ী গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে সিটির বাছে বিধ্বস্ত হওয়া ম্যাচটিতে দলে ছিলেন না। কোমরের ইনজুরির কারণে ঐ সময় পতুর্গালে ফিরে যাওয়াটা অনেকেই খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে ইউনাইটেড ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়। ঐ ম্যাচ থেকে বেরিয়ে এসে গতকাল অন্তর্র্বতীকালীণ কোচ পাঁচটি পরিবর্তন করে মূল দল সাজিয়েছিলেন যার মধ্যে রোনালদো ছিলেন। অসুস্থতার কারণে ব্রুনো ফার্নান্দেজ দলে ছিলেন না। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটের মধ্যে দুর্দান্ত স্ট্রাইকে জালের টপ কর্তারে বল জড়িয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন রোনালদো।
যদিও এক গোলে এগিয়ে থাকা ইউনাইটেড শুরুর এই দাপট ধরে রাখতে পারেনি। এবারের মৌসুমে ঘরের মাঠের আগের ম্যাচগুলোর মতই ম্যাচের আবহ পরিবর্তিত হতে থাকে। এক গোল হজম করে স্পার্সরা জ্বলে উঠতে শুরু করে। বেন ডেভিসের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হযে যায়। এরিক ডায়ারের হেড কর্তারের মাধ্যমে লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করেন ডেভিড ডি গিয়া। ডিয়ান কুলুসেভিস্কির ক্রস থেকে এ্যালেক্স টেলেসের হাতে বল লগালে পেনাল্টি উপহার পায় স্পার্সরা।
৩৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে সমতা ফেরাতে ভুল করেননি হ্যারি কেন। গত ৬ ম্যাচে এটি ইংলিশ অধিনায়কের ষষ্ঠ গোল। তিন মিনিটের মধ্যে ইউনাইটেডর আবারো রেনালদোর গোলে এগিয়ে যায়। জেডন সানচোর ক্রস থেকে অস্ট্রিয়া-চেক স্ট্রাইকার জোসেফ বিকানকে ছাপিয়ে ফিফার রেকর্ড বইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নাম লেখান রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেডের দূর্বল রক্ষনভাগের সুযোগে স্পার্স বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। কুলুসেভিস্কির কাট-ব্যাক থেকে সন হেয়াং-মিনের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৭২ মিনিটে সার্জিও রেগুইলনের ক্রসে ইউনাইটেড অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়েরের আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফিরে এন্টোনিও কন্টের দল। এবারের মৌসুমে ইংলিশ এই ডিফেন্ডারের ধারাবাহিক ভুলে ইউনাইটেডকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ম্যাচ শেষের ৯ মিনিট আগে টেলেসের কর্তার থেকে রোনালদোর শক্তিশালী হেডে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়।