পোর্ট কানেকটিং থেকে বন্দর পর্যন্ত সড়কের খানা-খন্দক ও ভাঙা অংশ পরিদর্শন করেছেন সিটি প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। তিনি এ সময় চসিকের প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে নির্দেশনা দেন।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরের অধিকাংশ সড়ক বিধ্বস্ত রূপ নেওয়ার প্রধান কারণ হলো সমন্বয়হীনতা। সেবাসংস্থাগুলো অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া নেই। ওয়াসা, গ্যাস, সিডিএ, বিটিসিএলএসহ অন্যান্য সেবাসংস্থাগুলো প্রকল্প কখন শুরু ও শেষ করবে সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেই। নির্ধারিত স্থানে একটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন একই স্থানে পৃথক প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের কাছে বোধগম্য নয়। আমরা একটি সড়কের সংস্কার বা মেরামতি কাজ শেষ করার পর পরই ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলো রাস্তা খোঁড়াখুড়ি শুরু করে। এ কারণে সরকারের আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি জনদুর্ভোগও হচ্ছে। এজন্য দোষারোপ করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনকে। যেহেতু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি নির্বাচিত কর্মপরিষদের দ্বারা পরিচালিত, সেহেতু জবাবদিহিতার বিষয়টিও তাদের উপর বর্তায়। চেষ্টা করছি নগরে সেবাদান প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমন্বয় সাধনে কাজ করতে, যাতে নগরীর ভোগান্তি কমে। পরিদর্শনকালে সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি