আলোচনা সভা
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও আন্দরকিল্লা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, টিউবারকুলোসিস (টিবি) বা যক্ষা শুধু ফুসফুসের ব্যাধি নয়, এটি মস্তিস্ক থেকে শুরু করে ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি ও হাড়সহ শরীরের যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সংক্রমণ হতে পারে। ফুসফুসে যক্ষ¥ার জীবাণু সংক্রমিত হলে টানা কয়েক সপ্তাহ কাশি ও কফের সাথে রক্ত যায়। আমাদের এমন কোন অঙ্গ নেই যেখানে যক্ষা হয়না। যক্ষা হচ্ছে একটি বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক ব্যাধি যেটা মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস জীবাণুর সংক্রমণে হয়ে থাকে। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কারণে যক্ষা রোগীদের চিকিৎসায় দেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে। পরিবারে যক্ষ¥া রোগী থাকলে শিশুসহ অন্য সবাইকে চিকিৎসকের পরামর্শমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যক্ষা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে যক্ষা নির্মূল সম্ভব। গতকাল বুধবার সকাল বিকেল ৩টায় নগরীর আন্দরকিল্লার চট্টগ্রাম জেলা বিশ্ব যক্ষ¥া দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘ মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, যক্ষ¥ামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ¥া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন অফিস ও সহযোগী সংস্থা সমূহ সভার আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অংশ জন্মগতভাবে যক্ষ¥া রোগের জীবাণু বহন করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। পরিবেশ দূষণ, দারিদ্রতা, মাদকের আসক্তি ও অপুষ্টি যক্ষার হার বাড়ার অন্যতম কারণ। এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ভয় না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে এ রোগ পুরোপুরি সেরে যাবে। সভার পূর্বে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব যক্ষা দিবসের স্ট্যান্ডিং র্যালি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও টিবি ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডা. মোস্তফা নুর মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল বিষয় উপস্থাপন করেন বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডা. বিশাখা ঘোষ। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার (রাগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এস.এম জাহিদ, আইসিডিডিআরবি’র মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাওন বড়–য়া, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক’র জেলা ম্যানেজার জামাল আহমদ ও মমতা’র পরিচালক শিবগাতুল আরিফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়া ও যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগাম অর্গানাইজার গাজী মো. নুর হোসেন। বিজ্ঞপ্তি