ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনে দেশের ব্যবসায়ীদের এখনো ঢাকার দিকে চেয়ে থাকতে হয়। ঢাকায় থাকা সরকারি-বেসরকারি সব সেবাই বিকেন্দ্রীকরণ করা এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল ব্যবসায়ীদের অন্যতম দুঃখ। দেশের আর কোনো মহাসড়কে এই ধরনের ওজন স্কেল নেই। তাই দেশের সব এলাকায় এ ধরনের স্কেল বসাতে হবে কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে অবিলম্বে এটি অপসারণ করতে হবে। জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামে বিগত দশ বছরে ছয় হাজার দুইশত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে তিন হাজার পঁচাত্তর কোটি টাকা। এছাড়া অবকাঠামোগতসহ আরো নানাভাবে ক্ষতির পরিমাণ বিশাল অঙ্ক। তাই চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনই হচ্ছে আমাদের প্রধান কাজ।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন। এই উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে নিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম প্রকৃত অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে উঠবে।
গতকাল শনিবার প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি এফবিসিসিআই-এর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার এই অর্জনকে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেন। তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক।
যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলমের জীবনচরিত উপস্থাপন করেন প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম।
অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (সিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, মাহবুবুল আলম জীবনের প্রতিটি অঙ্গণে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের ব্যবসায়ীরা তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। তিনি ব্যবসায়ী সমাজের আইকন।
সভাপতির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন মো. রেজা বলেন, মাহবুবুল আলম জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রি’র সভাপতি হিসেবে পাঁচবার দায়িত্ব পালন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা নির্বাচিত হওয়াও আরেক ইতিহাস। একজন বিনয়ী ব্যক্তি হিসেবে তিনি সবার কাছে সমাদৃত। বে-টার্মিনাল এবং গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হবে। এক্ষেত্রে মাহবুবুল আলম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি হিসেবে মাহবুবুল আলম চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নেবেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে উঠা ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম যোগ্য মর্যাদা লাভ করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও আলহাজ আলী আব্বাস, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম, প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ, সানপ্লাস গ্রুপের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মধু, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, প্রেস ক্লাবের দাতা সদস্য প্রদীপ দাশ ও মোহাম্মদ শওকত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমদ, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
সংবর্ধিত অতিথি মাহবুবুল আলমকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মাননা স্মারক প্রদান ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, কার্যকরি সদস্য মো. আইয়ুব আলী এবং মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুসহ প্রেস ক্লাবের সদস্য, দাতা সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি