সুপ্রভাত ডেস্ক »
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্রসহ দরকারি সব কাগজপত্র পেয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি মোট ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী। রোববার (২ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তবে মোট চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে এই সংখ্যাটা ৫০ হাজারের বেশি হবে বলে ধারণা করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যেতে না পারার কারণ খুঁজতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির কাছে ভুক্তভোগীদের যে কেউ অভিযোগ করতে পারে” – যোগ করেন তিনি।
এসব কর্মী না যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেটভুক্ত ১০০টি এজেন্সি দায়ী যেখানে ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কি ব্যবস্থা নেবেন– এমন প্রশ্নের যেভাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যিনি বা যারা দায়ী থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমপি চিনি না। তাদের সাথে কোন ডিল নাই। আমরা শুধু এজেন্সিকে কাজ দিব।”
ভবিষ্যতে আবার সিন্ডিকেট হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। যে দেশ কর্মী নেবে, তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন এজেন্সি কর্মী পাঠায়। আমরা চাই আমাদের নিবন্ধনকৃত আড়াই হাজার এজেন্সির সবাই যেন কর্মী পাঠাতে পারে।”
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেয়ার পরিকল্পনা আছে।
মালায়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে সরকার আশাবাদী বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।