নিজস্ব প্রতিবেদক »
চৈত্রের তাপাদহ থেকে স্বস্তি পেতে যেখানে লেবুতে একটু ভরসা করা যায়, সে লেবুর দাম প্রতি জোড়া ৩০ টাকা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে সবজি- সবকিছুতেই চৈত্রের মতো দামে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের বহদ্দারহাট, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
শীতকালীন সবজিতে ক্রেতাদের স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ থাকলেও শীত শেষে সে তা আর থাকছে না। বাজারে চাহিদার অনুপাতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমায় দামও প্রায় বাড়তে থাকে। এছাড়া বাজারে গ্রীষ্মকালীন আগাম সবজি উঠলেও চাহিদার অনুপাতে তা সামান্য। তাই চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় দামও অনেক বেশি। এ দামে নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
সরেজমিনে বহদ্দারহাট কাচাঁবাজার, ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ও রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে শীতকালীন সবজি সরবরাহ কমায় প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি এখনো পর্যাপ্ত না থাকায় বেশির ভাগ সবজির দাম কেজি ৬০ টাকার উপরে। তবে চাহিদার অনুপাতে আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় প্রতি কেজি আলুর দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটোতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩৫ টাকা, লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুরলতি ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খিরা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিমের বিচি ১২০ টাকা ও ফরাস শিমের বিচি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি ঢেরস ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, শসা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা , পটল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং তিত করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। প্রতি আঁটি লাল শাকের দাম ২৫ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, কুমড়ো শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা এবং পাটশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, খোলা পাম সুপার তেলের দাম ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। এক লিটার বোতলজাত পুষ্টি সয়াবিন তেল ১৩৫ টাকা, তীর সয়াবিন তেল ১৩০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত বসুন্ধরা সয়াবিন তেলে প্রায় ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকায়, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৬৪০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং তুরস্কের পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা। প্রতি কেজি অস্ট্রেলিয়ান ছোলার দাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং মটরের দাম ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা।
তবে এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভিড়ে থাকে। অপরদিকে ক্লিংকারবাহী জাহাজের মধ্যে এর আগে সর্বোচ্চ ১৭৫ মিটার দীর্ঘ পর্যন্ত জাহাজ ভিড়েছিল।