সড়ক সংস্কারে গাফেলতি কেন

নগরের প্রান্তিক কোনো এলাকা নয়। নগরের চকবাজারের লাগোয়া বাদুড়তলার হজরত জঙ্গি শাহ আল কোরাইশী সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। দেখার কেউ নেই।
ওই এলাকার এক বাসিন্দা প্রচণ্ড ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বছর তিনেক ধরে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত। বর্ষা এলে এ সড়ক দিয়ে হাঁটা যায় না। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ভোগান্তি আরও বাড়ে। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই। সড়ক এভাবেই পড়ে আছে। সংস্কার হচ্ছে না। যেন কারও চোখেও পড়ছে না।’
বহদ্দারহাট বারোইপাড়া থেকে বাদুড়তলা এলাকায় বের হওয়ার মূল সড়ক এটি। দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। শাহি আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে সড়কটি চলে গেছে। সড়কের বেশির ভাগ অংশই মাটির। ইটও নেই। বিভিন্ন স্থানে গর্ত। জমে আছে পানি।বাদুড়তলা, বহদ্দারহাট, চকবাজারের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা ভাঙাচোরা সড়কটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। সামান্য বৃষ্টিতেই নালার পানি সড়কের ওপর উঠে যায়। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের দুই পাশ উঁচু করে দেওয়া হয়েছে। তবু নালার পানি সড়কে উঠে যাচ্ছে।
ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ হলেও এবড়োখেবড়ো সড়কটি পড়ে আছে। বর্ষার আগেই এটি সংস্কার না করলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
সড়কটি পড়েছে সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ কারণে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। তিনি স্বীকার করে বলেন, ২০১৯ সালে সর্বশেষ সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল।
নগরের অনেক সড়ক ও খাল সংস্কার হচ্ছে না বেশ কয়েকবছর ধরে। অজুহাত হিসেবে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের দোহাই দেওয়া হয়। আসলে কি তাই?
দেখা গেছে প্রকল্পের কাজ শেষ কিন্তু সংস্কারে হাত দেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘসূত্রীতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে সেবাসংস্থাগুলোর জরুরি নজর দেওয়া উচিত। জনদুর্ভোগ কী করে কমিয়ে উন্নয়ন করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখাও তাদের কাজের অংশ বলে মনে করতে চায় মানুষ।
বর্ষা আসার আগে সড়কগুলোর সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে। নালা ও খালের আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। এখন শুরু না করলে সেই দুর্ভোগই পোহাতে হবে জনগণকে।