সড়ক – ফুটপাত দখল কতদিন চলবে

মেয়রের ফুটপাত মুক্ত করার ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নগরে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ফল বিক্রির মহোৎসব চলছে। সুপ্রভাতের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে,
বিআরটিসি মোড় থেকে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জুড়ে সড়কের তিনভাগের দুইভাগ রাস্তা দখল করেছে তাল ব্যবসায়ীরা। শুধু তাই নয়, এছাড়া কদমতলী পেট্রোল পাম্পের সামনের মোড় থেকে সিআরবিমুখী রাস্তাও তাদের দখলে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে ট্রাকে তাল এনে রাস্তার ওপরই লোড-আনলোড করা হচ্ছে। আর ফুটপাত থেকে সড়কের মাঝখানে পর্যন্ত দখল করে বেচা-বিক্রি হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গজিয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র। তারা এসব তাল ব্যবসায়ী থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেন বলে দাবি করেছেন সেসব ব্যবসায়ীরাই।
অন্যদিকে রিয়াজউদ্দিন বাজারের স্টেশন রোড এলাকার ফলের আড়তেও দেখা যায়, দেশি -বিদেশি ফল বোঝাই ট্রাকের সারি। এসব ট্রাক থেকে রাস্তার ওপর নামানো হয় নানা ধরনের ফল। এসব বিক্রির আলাদা ব্যবস্থা না করেই রাস্তা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে নানা ফলের বাজার।
অন্যদিকে একইচিত্র দেখা যায় ফিরিঙ্গী বাজারের রাস্তাও। তবে সেখানে নির্দিষ্ট আড়ত থাকার পরও রাস্তার ওপরই চলছে ফলের ব্যবসা।
সিএমপি ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এম এন নাসিরুদ্দিন বলেন, স্টেশন রোড থেকে ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা বরাবরই রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে। শুধু ফলের বাজার নয়, তাদের ফল নিয়ে আসা শত শত ট্রাকও রাস্তা দখল করে রাখে। তবুও আমরা চেষ্টা করি কোনভাবে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়। কয়েকদিন পরপর সিটি মেয়র ফুটপাত দখলমুক্ত করবেন বলে ঘোষণা দেন। এরমধ্যে কয়েকবার অভিযানও পরিচালনা করে নগরবাসী কর্তৃক ধন্যবাদার্হ হয়েছেন কিন্তু দিনশেষে তিনি সফল হননি। এতদিনের দখলবাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মৌসুমী ফলের বাণিজ্য। এই অরাজকতা থেকে শেষমেশ মুক্তি চায় নগরবাসী। সে মুক্তি সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিতে পারবে কিনা সেটাই প্রশ্ন।