নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া »
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে গত দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন একাধিক মানুষ। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধে চলাচল ও সড়কে যানবাহন চলাচলে কোন শৃঙ্খলা না থাকায় দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এদিকে একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাসোহারা দিয়ে সড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচলে সুযোগ করে দেওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের বৈজ্জালী গেট এলাকায় ১৩ জুলাই রাত সাড়ে আটটায় দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকের সাথে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে ফায়ার ফাইটার পদে কর্মরত জয় চৌধুরী (২৯), রাঙ্গুনিয়া পোমরা শান্তির হাট এলাকার অন্তু তালুকদার (২২) নিহত হয়। নিহতরা মোটর সাইকেল আরোহী ছিল।
১৩ জুলাই দুপুর আড়াইটায় রাঙ্গুনিয়া নিশ্চিন্তাপুর সেগুনবাগিচা সড়কে কাঠ বোঝাই জিপ উল্টে সাজ্জাত হোসেন (১৬) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।
১৩ জুলাই সকালে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের রাঙ্গুনিয়া ভবানি মিল এলাকায় ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে আরবি প্রভাষক আলতাফ হোসাইন (৫১), উজ্জ্বল বড়ুয়া (৫০), ঘাটচেক পৌরসভার আরফাত (২০) গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের চন্দ্রঘোনা জুমপাড়া সাবস্টেশন এলাকায় ২৯ জুন রাত সাড়ে নয়টায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৩ জুলাই রাত সাড়ে আটটায় হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান দানু মিয়ার পুত্র সেকান্দর হোসেন লিটু (৩৫) মারা যান।
১২ জুলাই রাত ১১টায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া পোমরা ইউনিয়নের সত্যপীর মাজার গেট এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. ফয়সাল (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়। এ সময় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়।
কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে সচেতনমহল দাবি জানিয়েছে।