শেখ হাসিনার গুম-খুনে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা ও জেনারেল শেখ হাসিনার আমলে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ‘আয়না ঘরের’ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধার জায়গায় রাখি। কিন্তু যারা শেখ হাসিনার সময়ে গুম, খুন ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচার না হলে বাংলাদেশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ, সম্মানজনক ও সার্বভৌম প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি কলুষিত হবে। কালো দাগ লেগে থাকবে। তাই আমরা আশা করি সেনাবাহিনী নিজ দায়িত্বে এই বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরকে আমি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই শেখ হাসিনার বিচার সম্পন্ন করবেন। তার পেশাদারিত্বের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, এক-দু’দিন দেরি হওয়া বড় বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো এর বাস্তবায়ন। জনগণের দেওয়া এই সনদ বাস্তবায়নের আইনগত ভিত্তি থাকতে হবে। জনগণ যেন এই সনদের সুফল পায়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ঐকমত্য কমিশনকেও এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে, না হলে এটা ছাত্র-জনতার সঙ্গে বড় বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার সুগার মিল এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল অংশগ্রহণে ‘চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও মাদক ব্যবসা’সহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে একটি লংমার্চ উদ্বোধন করেন সারজিস আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি নিজে একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে অংশ নেন এবং দুর্নীতিবিরোধী নানা স্লোগান দেন।

লংমার্চটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা ও তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

পথে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা এবং বাংলাবান্ধায় দ্বিতীয় পথসভায় বক্তৃতা দেন সারজিস আলম।