শুভেচ্ছাদূত হওয়ার দৌড়ে ঢাকাই সিনেমার নায়িকারা

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

শোজিব তারকাদের অনেকে পেশাগত কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোম্পানির প্রচার ও প্রসারের স্বার্থে আলোচিত ও চাহিদাসম্পন্ন তারকাদের এসব দায়িত্বে নিযুক্ত করা হলেও ইদানীং ব্যতিক্রম ঘটছে। সিনিয়র তারকাদের চেয়ে তরুণ প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই বেশি শুভেচ্ছাদূত হচ্ছেন। বিশেষ করে নায়িকারা। হাতে কাজ না থাকায় অনেকে বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ তদবির করে এসব সুযোগ হাতিয়ে নিচ্ছেন। গত তিন সপ্তাহে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিন নায়িকা। তাদের মধ্যে রয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, নুসরাত ফারিয়া, নাজিফা তুষি। ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের প্রতিষ্ঠান রিমার্ক হারল্যানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হয়েছেন নাজিফা তুষি। সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে রিমার্ক এইচবির কর্পোরেট অফিসে তুষির সঙ্গে চুক্তি করেন লিলির হেড অব বিজনেস হাসান ফারুক। তুষি বলেন, লিলির মতো একটি ভার্সেটাইল ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। এখন থেকে লিলির বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য প্রমোশনাল কার্যক্রমে আমাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা। একটি জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ২৫ মে এক ভিডিওবার্তায় কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবরটি জানান এই চিত্রনায়িকা নিজেই। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে মাহি বলেন, ‘জুয়া কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে অবৈধ কিছু করেননি। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে ক্রিকেট রিলেটেড ইনফরমেটিভ প্ল্যাটফর্ম অ্যান্ড নট প্রমোটিং ক্যাসিনো। আমি এভাবেই তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। আমাদের দেশের অনেকেই এ রকম চুক্তি করেছেন। আমি অবশ্যই বেটিং অ্যাপের সঙ্গে নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না। ভারতের গুজরাটের পারুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। আগামী ১ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কাজ করবেন তিনি। ২৪ মে এই প্রতিষ্ঠানের একটি ব্যাচের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। সেই অনুষ্ঠানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ফারিয়া। ফেসবুক ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, এটা সত্যিই অনবদ্য অভিজ্ঞতা। এটি গুজরাটের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে ৭০টির বেশি দেশের ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট অব অনার হওয়া আমার জন্য খুবই আনন্দের। একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ২০ মার্চ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বুবলী বলেন, যমুনা ইলেকট্রনিকসের বিশাল এই কর্মযজ্ঞে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তাদের এ পথ চলায় যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। হারপিকের শুভেচ্ছাদূত অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে টয়লেট হাইজিন সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হারপিক বাংলাদেশ-এর সব কার্যক্রমের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই অভিনেত্রী। জানুয়ারিতে ফ্রান্স-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হয় চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনা।