শিশু রাসেল হত্যা ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ : নাছির

‘দেশ-বিদেশে বিএনপি-জামায়াত ও তথাকথিত সুশীলরা বাংলাদেশের মানবাধিকার গেল গেল বলে হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ১৬০ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হওয়াটা যারা মানবাধিকার গেল বলে হৈ-চৈ করেছে তাদের গালে শক্ত একটি চপেটাঘাত।’

গতকাল মঙ্গলবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালনোপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে ভয়াবহতম গণহত্যা চালিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৯জন সদস্যসহ অবুঝ শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধ আর পৃথিবীর বুকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, অবুঝ ও নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে কোন পাপ স্পর্শ করেনি।

তারপরও তার বয়স ১১ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ঘাতকরা পিতা-মাতা, ভাই-ভাবীদের লাশ ডিঙিয়ে তাকে খুন করার ঘটনাটি ইতিহাসের সবচাইতে বেশি নৃশংস ঘটনা। বঙ্গবন্ধু পরিবারে তিনি ছাড়া আর কেউ সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। তারপরও দুর্বিনীত বর্বর ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ভয় পায় বলেই অবুঝ শিশু রাসেলকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোটবোনকে নিয়ে মাত্র ১৫ দিন আগে জার্মানিতে চলে গিয়েছেন বলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। আমাদের সৌভাগ্য তিনি আজ বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ যা ছিল এখন তার অনেক পরিবর্তন, অর্জন ও আরোহন হয়েছে। একটি গরীব দেশকে তিনি স্তরে স্তরে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন এবং তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা। তার এই লক্ষ্য অর্জনে অবশ্যই আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করবো এবং ঐক্যের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগর ও সংলগ্ন এলাকার ৬টি আসনে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তার বিজয় সুনিশ্চিত করতে এখনই ভোটারদের মন জয় করার কাজ শুরু করে দিতে হবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অবুঝ শিশু রাসেল হত্যার যে বেদনাদায়ক ট্র্যাজেডি ঘটেছে তা এখনো আমরা মানুষের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এজন্য এই হত্যাকা-ের যে বেনিফিসিয়াররা তারা মাঠে রাজনীতি করতে পারছে। ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী জামায়াত এখনো কীভাবে রাজনীতি করে তা একটি অবাক বিস্ময়। এই অবাক বিস্ময়ের মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং অতপর খালেদা জিয়া ও তার কুসন্তান তারেক জিয়া। এদের প্রত্যেককেই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদক ম-লীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবাইরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, শহিদুল আলম। উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের হাজী সিদ্দিক আলম, হারুনুর রশিদ, সাহাবউদ্দীন আহমেদ, আবু তাহের, আনছারুল হক, মো. ইলিয়াছ, মো. মঈনুদ্দিন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সামশুল আলম, গিয়াস উদ্দীন, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া, মো. জামাল উদ্দীন, আলী নেওয়াজ, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, মোসলেম উদ্দীন, রুহুল আমিন মুন্সী, জহুরুল আলম জসীম, আব্দুল মান্নান, আশরাফুল আলম, আসিফ খান, কায়সার মালিক, ইসকান্দর মিয়া, মো. ইকবাল হাসান, আব্দুল আজিজ মোল্লা, শেখ জাফরুল হায়দার সবুজ, আব্দুল শুক্কুর ফারুকী, আব্দুল মালেক, অ্যাডভোকেট শাহেদুল আজম শাকিল, ইকবাল চৌধুরী, জসীম উদ্দীন, ইফতেখার আলম জাহেদ, লুৎফুল হক খুশী প্রমুখ।

সভার আগে মঞ্চে শহীদ শেখ রাসেলের রুহের মাগফেরাত কামনায় খতমে কোরআন, দোয়া-মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন দারুল ফজল মসজিদ মার্কেটের পেশ ঈমাম মাওলানা ফজল কবির। বিজ্ঞপ্তি