নিজস্ব প্রতিবেদক »
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের (প্রাথমিক শিক্ষার্থী) মাঝে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এবার চট্টগ্রামে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৪ জন শিশুকে করোনার টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। যার মধ্যে ছেলে ৫ লাখ ৮ হাজার ৮৩৪ জন ও মেয়ে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন।
গতকাল প্রথম দিনে নগরীর ৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে ১৫ হাজার ৮৩২ জন শিশুকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছেলে ৭ হাজার ২৪৮ জন ও মেয়ে ৮ হাজার ৫৮৪ জন। চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে কোন শিশু যেন বাদ না পড়ে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বেসরকারি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদেরও টিকা দেয়া হবে।
এদিকে, নগরীর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও জেলা পর্যায়ে এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে শীঘ্রই শুরু করার কথা জানানো হয়।
এবার সারাদেশের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মাঝে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিনব্যাপী ১২ সিটি কর্পোরেশনে ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন ১ হাজার ৮৬০টি টিকাদান টিম কাজ করবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিশুদের মাঝে করোনা টিকা প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম চলবে আগামি ১৪ দিন।
উল্লেখ্য, কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনা হবে । প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পরে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসমূহের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ টিকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে শিশুদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।