নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় শনাক্ত বাড়ছে শিল্প পুলিশে। এর আগে ২৪ জন আক্রান্ত হওয়ার পর শুক্রবারের রিপোর্টে আরো ৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে শিল্প পুলিশে। এদিকে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও কক্সবাজার ল্যাবে করোনা পরীড়্গায় ৫৪৫টি নমুনায় ১৬১ জন করোনায় পজিটিভ হয়েছেন। এই ১৬১ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২৯ জন ও বিভিন্ন উপজেলার রয়েছে ৩২ জন। ফলে চট্টগ্রামে মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ১ হাজার ৪৪৫ জন। এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৪০ জন ও মারা গেছেন ৫০ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, শুক্রবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৪৭টি নমুনার মধ্যে ৩৭টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৩৭টি পজিটিভের সবগুলো চট্টগ্রামের। এরমধ্যে ২৭টি মহানগরীর ও ১০টি বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার ২০৯ জনের নমুনার মধ্যে ১০০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর সবগুলোই চট্টগ্রামের। এরমধ্যে মহানগরীর ৯২ জন ও উপজেলার রয়েছে ৮ জন। এদিকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯টি নমুনায় পজিটিভ হেেছ ২৪টি। এই ২৪টির মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি ও বিভিন্ন উপজেলার ১৪টি রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা গতকাল ছিল না।
এদিকে নতুন করে ১৬১ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১,৪৪৫ জন। এর আগে ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।