সুপ্রভাত ডেস্ক »
শিল্প উদ্যোক্তাদের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বায়ার্স এবং সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটের আওতায় এক বছরের পরিবর্তে এখন থেকে তিন বছর মেয়াদি বৈদেশিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান মূলধনি যন্ত্রপাতি আনার জন্য ইতোমধ্যে মধ্যমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণের চুক্তি করেছে তাদের ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঋণের মেয়াদ বাড়লেও সুদের হার না বাড়াতে বলা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সাকুর্লার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বাড়তি উৎসাহ যোগাতে জারি করা এই নির্দেশনা কেবল এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন, প্রাইভেট এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন, ইকোনমকি জোন, হাই—টেক পার্ক এবং সরকার ঘোষিত বিশেষায়িত জোনের ভেতরে কারখানার জন্য প্রযোজ্য হবে। আর সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বস্ত্র বিভাগের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে বিডার ফরেন ঋণ বা সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট সংক্রান্ত স্ক্রুটিনি কমিটির ১৮২তম সভায় তিন বছর মেয়াদি ঋণের সিদ্ধান্ত হয়। মূলত মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বাড়তি উৎসাহ যোগাতে দেশের সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর ঢাকা পোস্ট।
এর আগে গত বুধবার এক সাকুর্লারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যেসব আমদানি—নির্ভর শিল্প খাত ক্ষতির মুখে পড়েছে, সেই ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধে আট বছর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এসব ঋণ আলাদাভাবে হিসাব করে এক বছরের বিরতিসহ প্রতি মাসে বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা যাবে। কোভিড—১৯—এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাশিয়া—ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমান উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পগুলো কাঁচামাল আমদানিকালে বিনিময় হারজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাসসহ ফোর্সড ঋণ সৃষ্টি হচ্ছে এবং চলতি মূলধনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন সুবিধা দেওয়া হয়।