সুপ্রভাত ডেস্ক :
রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে র্যাবের ‘হটলাইন’ ও ই-মেইলে প্রতারণার ১৪০ অভিযোগ জমা পড়েছে। সে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এছাড়া তার (শাহেদ) পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ ।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সাহেদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দিতো না। কীভাবে তারা বেতন পেতে আইনি পরামর্শ পাওয়া যায় এ ব্যাপারে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে র্যাবের ‘হটলাইন’ ও ই-মেইলে প্রতারণার ১৪০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১২০টি অভিযোগ হটলাইনে এবং বাকী ২০টি অভিযোগ ই-মেইলে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা জানিয়েছে । সে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। র্যাবের তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানান আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যেভাবে নিজেকে পরিচয় করানোর দরকার তিনি সেভাবেই সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচয় দিতেন।
সাহেদ করিমকে প্রতারক ‘আইডল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন প্রতারকের যে বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, আমরা তদন্তে জেনেছি সাহেদ করিমের মধ্যে সবগুলোই ছিল। যার ফলে খুব সহজে প্রতারণা করে মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতেন। সাধারণ মানুষ তার গুরুত্বপূর্ণ আবহ দেখে বিশ্বাস করতো।’