শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে জামাইগ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরীর বন্দর থানার কলসীদীঘির পাড় এলাকায় জামাইয়ের হাতে খুন হন শাশুড়ি রুমা আক্তার প্রকাশ মঞ্জুরা বেগম (৫৫)। রোববার রাতে তার লাশ উদ্ধার করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুইমাস ধরে মেয়ের বাসায় থাকতেন শাশুড়ি মঞ্জুরা বেগম। শাশুড়ির বাসায় দীর্ঘদিন থাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়। প্রতিদিনের মত রোববার সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার পর স্ত্রী পারভীন কর্মস্থল গার্মেন্টেস কারখানায় চলে গেলে আজিম শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে শাশুড়িকে মারধর করা হয়। মঞ্জুরা এ ঘটনা মেয়ে পারভীনকে ফোনে জানান। এরপর পারভীনের মেয়ে জান্নাতুল বাসায় এসে দেখতে পায় বিছানার পাশে জানালার সঙ্গে ওড়না পেছানো নানী মঞ্জুরার মরদেহ।

এ ঘটনায় সোমবার সকাল ১০টার সময় ডবলমুরিংয়ের সুপারিওয়ালা পাড়া এলাকা থেকে জামাতা মো. আজিম (৫৩) কে গ্রেফতার করেন পুলিশ। তিনি কর্ণফুলী থানার জামালপাড়া এলাকার মৃত মো. আরী জোহারের পুত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন।

বন্দর থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে হত্যা করেন জামাই আজিম। নাতনি পারভীন বাসায় গিয়ে নানীর মরদেহ দেখতে পেয়ে তা মাকে ফোনে জানায়। এরপর তার বাবাকে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার এবং আজিমকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুরার ছেলে মো. জুয়েল বাদি হয়ে আজিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার আজিমকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি জবানবন্দিতে হত্যার সাথে জড়িতের থাকার বিষয় স্বীকার করেন।