চারুকলা ইনস্টিটিউট
নিজস্ব প্রতিবেদক »
দীর্ঘদিন পর অবশেষে খুলল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। গতকাল রোববার থেকে এ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চবি চারুকলা তালা এ ইনস্টিটিউটের খুলে দিয়ে পাঠদান প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানানোর পরও গতকাল সকাল ৯টা থেকে ১১টায় ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করতে পারেননি শিক্ষকেরা। এ সময় তাদেরকে ইনস্টিটিউটের গেইটের বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবিএম ফখরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ইনস্টিটিউটে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। এরমধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে আবার আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ চারুকলা ইনস্টিটিউটের তালা খুলে পাঠদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালা খোলার আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বলেন, ‘আমরা বারবার অনুরোধ করে বলছি, আপনারা ক্লাসে ফিরে যান। ক্লাস করার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, ওগুলো সহসা দায়িত্ব নিয়ে আমরা সমাধান করবো।’
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবিএম ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা যে দাবিগুলো জানিয়েছেন তার মধ্যে প্রথমত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে স্ব স্ব প্রশাসন সবগুলোতে প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আজই (২২ জানুয়ারি) চিঠি পাঠাবো। দ্বিতীয়ত ইনফরমেশন সেন্টার নামে যে বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য কেন্দ্রটি আছে সেটি বন্ধ রেখে, সেখানে ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যেন আপাতত সেখানে আবাসন সুবিধা পায়।’
আরও তিনটি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ধরনের ক্যান্টিন সুবিধা দরকার সেরকম একটি ক্যান্টিন চালুর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। চতুর্থত স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চালু থাকা অবস্থায় ক্লাস করার ক্ষেত্রে ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুমে যে ঝুঁকি রয়েছে সেটি সার্বিক তদারকি ও মেরামতের জন্য প্রকৌশলীদের একটি টিম নিয়োজিত হবে। পঞ্চমত খেলার মাঠের জন্য নগরের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের খেলার মাঠসহ অন্যান্য মাঠগুলোর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা করা হবে।’
তাদের বক্তব্য শেষে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে রাজি হন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে জহির রায়হান অভি বলেন, ‘ শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষা উপমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও প্রশাসন আমাদের যে কথা দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি আমরা লক্ষ্য করবো। আমরা ক্লাস করার পক্ষে। তবে সাতদিনের মধ্যে যদি প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের গতি না পায় তাহলে সাতদিন পর আবার পুনরায় আন্দোলনে যাবো।’