সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
এই ম্যাচে নায়ক হয়ে ওঠার কথা ছিল শাই হোপের। কিন্তু তাকে ম্লান করে দিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। নায়কোচিত এক ইনিংসে দলকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। দলকে সমতায় ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন লিভিংস্টোন। ৫ উইকেটের জয়ে ১-১ সমতায় ফিরলো ইংল্যান্ড। সিরিজের ফয়সালা হবে এখন শেষ ওয়ানডেতে। এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বুধবার ব্রিজটাউনে। শনিবার (২ নভেম্বর) অ্যান্টিগায় আগে ব্যাট করে হোপের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেট ৩২৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হোপের ব্যাট থেকে আসে ১২৭ বলে ১১৭ রান। রান তাড়ায় নেমে শুরুতে চাপে থাকলেও লিভিংস্টোনের ব্যাটিংয়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় ইংল্যান্ড। ৫ চার ও ৯ ছক্কায় ৮৫ বলে ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন লিভিংস্টোন। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিদায় নেন ১১ বলে ১২ রান করা উইল জ্যাকস। তিনে নামা জর্ডান কক্স করেন চার। তবে একপ্রান্তে ব্যাট হাতে নির্ভার হয়ে খেলছিলেন সল্ট। তার সৌজন্যেই ততক্ষণে রান উঠে যায় ৬৩। তৃতীয় উইকেটে সল্ট ও বেথেল ইংল্যান্ডকে টেনে নেন। ৮ চারে ৫৯ বলে ৫৯ করে শেষ হয় সল্টের ইনিংস। বেথেল করেন ৫৭ বলে ৫৫ রান। বেথেল বিদায় নিলে জুটি বাঁধেন লিভিংস্টোন ও স্যাম কারান। দুজনের জুটিতে আসে ১০৭ বলে ১৪০ রান। লিভিংস্টোন ফিফটি করেন ৬০ বলে। এরপরই দেখান ঝড়। ফিফটি থেকে শতরানে পৌঁছ যান মাত্র ১৭ বলে খেলে! এই ১৭ বলে হাঁকান পাঁচ ছক্কা। তাতে শেষ ১০ ওভারে ১০০ রানের সমীকরণও সহজ হয়ে যায়। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ব্র্যান্ডন কিং আউট হন সাত রান করে। এভিন লুইসও ফিরে যান চার রানে। তৃতীয় উইকেটে কেসি কার্টিকে নিয়ে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন হোপ। ৭৭ বলে ৭১ রান করে কার্টির বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৫৭ বলে ৭৯ রান যোগ করেন হোপ ও শেরফান রাদারফোর্ড। ৫৪ রান করা রাদারফোর্ডকে ফিরলে ভাঙে জুটি। হোপ সেঞ্চুরি করেন ১১৮ বলে। তার ৮ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংস শেষ হয় ৪৭তম ওভারে। শেষ দিকে শিমরন হেটমায়ার তিন ছক্কায় ১১ বলে করেন ২৪। শেষ ওভারে সাকিব মাহমুদকে তিন ছক্কাসহ ম্যাথু ফোর্ড অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ২৩ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে যায় ৩২৮ রানে।