নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
চকরিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর লাথি ও কিলঘুষিতে আহত হয়ে দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুর দু’টার দিকে স্ত্রী পারভীন আক্তার মারা যায়। এ ঘটনায় শনিবার ঘাতক স্বামী মোহাম্মদ সোহেল রানা (২১) কে স্থানীয় লোকজন পাকড়াও করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহত পারভীন আক্তার (২০) চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার মোকলেছুর রহমানের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ জানায়, আটক সোহেল রানা রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ডিয়ানপাড়া এলাকার মফিজ উল্লাহর ছেলে। তিনি খুটাখালী বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রয় করতেন।
খুটাখালী বাজার এলাকার একটি ভাড়াবাসায় থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিত-ার জের ধরে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী সোহেল স্ত্রী পারভীন আক্তারকে এলাপাতাড়ি লাথি ও কিলঘুষি মারেন। স্ত্রী পারভিন আক্তার গুরুতর আহত হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় খুটাখালী মেডিক্যাল সেন্টার ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর দুইটার দিকে পারভীন মারা যায়। এ ঘটনা জানার পর স্থানীয় লোকজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা স্বামী সোহেল রানাকে পাকড়াও করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা রুজু করা হবে। আটক স্বামী সোহেল রানাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
				

















































