লাগাতার কর্মসূচির ডাক শিক্ষক সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক »

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে শিক্ষকরা তারা বলেছেন, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন, শিক্ষায় বিনিয়োগে ইউনেস্কো আইএলওর সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা দরকার। এটি এখন সময়ের দাবি। তাছাড়া ২০২৩-২৪ বছরের জাতীয় বাজেট পাশের পূর্বেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে ১১ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) এর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারন সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ, শিমুল কান্তি মহাজন, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি নুরুল হক সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র অনুমোদিত ১৪৬টি সুপারিশ সম্বলিত শিক্ষকদের মর্যাদা বিষয়ক সনদের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা উল্লেখ থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১১.৯২ শতাংশ অথবা জিডিপি’র ১.৮৩ শতাংশ। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দ কমিয়ে জাতীয় বাজেটের ১১.৫৭ শতাংশ অথবা জিডিপির ১.৭৬ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষকদের বৈষম্য করা হয়েছে। তাই ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সারা জাতি আজ চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

সংবাদ সম্মেলনে অঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে। পরিতাপের বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২০ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।’

সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ বলেন, একজন সরকারি শিক্ষক তার সুবিধাদি যেখানে সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন সেখানে একজন বেসরকারি শিক্ষককে তার সুবিধাটি আদায় করতে রাজপথে নামতে হয়। একদেশে একই মানের শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে দুই আইন থাকতে পারে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারাদেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।